IAS ক্যাডার আইন নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

ফের আইএএস ক্যাডার রুলস, ১৯৫৪ সংশোধন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও আইএএস ক্যাডার রুল সংশোধনের বিরোধিতা করে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর। চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, এই আইন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। আইনের আড়ালে আমলাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিতে চাইছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।

এদিন চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকারের হয়ে যে সংশ্লিষ্ট আমলা কাজ করছেন,তাঁকে রাজ্যের কোনও মত না নিয়েই অন্য রাজ্যে পাঠানো হলে তাতে আধিকারিকদের মনে ভয় ঢুকবে। এতে আইএএস অফিসারদের নিরাপত্তা, দায়বদ্ধতাও ধাক্কা খাবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, নয়া সংশোধনী অনেক বেশি দমনমূলক। একইসঙ্গে এই আইন কেন্দ্র-রাজ্যের সহাবস্থান ও মধ্যেকার সম্পর্ককে নষ্ট করছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নয়া আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে গত ১৩ তারিখও কেন্দ্রকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তারপর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও কোনও জবাব না পেয়ে ফের পত্রাঘাত মুখ্যমন্ত্রীর।

আমলাদের নিয়ন্ত্রণে একচ্ছত্র অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকলে প্রশাসনিক কাজে সঙ্কট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন নবান্নের একাধিক অফিসার। কেন্দ্র-রাজ্য রাজনৈতিক লড়াইয়ে তারা অংশীদার হয়ে পড়তে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সুখকর হবে না বলে আশঙ্কায় আমলারাও।

নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যে আইএএস অফিসারদের অনুমোদিত পদ রয়েছে ৩৭৮। অর্থাৎ এঁরা পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস। কিন্তু গত ১ জানুয়ারির রিপোর্ট বলছে, রাজ্যে এই মুহূর্তে কর্মরত আইএস অফিসার রয়েছেন ২৮৫ জন। এর মধ্যে ৭ জন কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে রয়েছেন। দু’জন স্টাডি লিভ নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এক-একজন আইএএস অফিসারকে একাধিক দপ্তর সামাল দিতে হচ্ছে। খোদ স্বরাষ্ট্রসচিবকে একসঙ্গে স্বরাষ্ট্র দপ্তর সামাল দিয়ে পরিষদীয় ও প্রশাসনিক কর্মিবর্গ দপ্তরের দৈনিক কাজ অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দেখতে হচ্ছে। ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের উপর বেশি করে প্রশাসনকে নির্ভর করতে হচ্ছে। ক্যাডার সংশোধনী নিয়ে আরও একবার তুঙ্গে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত।

উল্লেখ্য, আমলা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। এর আগে প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের কাজে কোনও আমলা নিযুক্ত হলে তিনি কেন্দ্র সরকারের অধীনে থাকেন। রাজ্যের কাছে নিযুক্ত আমলার নিয়ন্ত্রণ থাকে রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু, কোনও কারণ কেন্দ্র চাইলে রাজ্য সরকারকে সেই দাবি মেনে রাজ্যের কাজে থাকা আমলাকে ছেড়ে দিতে হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*