ফের একবার রাজ্যকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্যসরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “এই রাজ্যে মদ দোকান, পার্লার, সেলুন দোকান খোলা। এখানে কোভিড দেখা যায় না। শুধু লোকাল ট্রেন আর স্কুলে কোভিড থাকে। এভাবে গোটা প্রজন্মের খুব ক্ষতি করছে।”
করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ সমস্ত স্কুল। এমন পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়াতে একটি ধর্মীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই রাজ্যে মদ দোকান, পার্লার, সেলুন দোকান খোলা। এখানে কোভিড দেখা যায় না। শুধু লোকাল ট্রেন আর স্কুলে কোভিড থাকে। এভাবে গোটা প্রজন্মের খুব ক্ষতি করছে স্কুল বন্ধ রেখে। ছাত্র-ছাত্রীরা বলছে তারা সব ভুলে গেছে। গরিব ছেলে মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে স্কুল খোলা হোক।” এরপর তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে কোভিড বিধি মেনে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। একদিন অন্তর ক্লাস হচ্ছে। একটা বেঞ্চে দু’জনকে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া। এভাবে আমাদের রাজ্যে কেন স্কুল খোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে না?”
শুক্রবার শুভেন্দু বলেন, “আজকে অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই সব কিছু মাথায় থাকবে আমাদের। কিন্তু আমার ব্যথা লেগেছে অন্য জায়গায়। আজ এক বোন আমায় বলেছেন যে স্কুল আজ বন্ধ। আমাদের এতটাও আর্থিক সামর্থ্য নেই যে আমরা প্রাইভেটে পড়াশোনা করব। আমাদের ল্যাপটপ বা ট্যাব নেই যে আমরা অনলাইনে ক্লাস করব। অত্যন্ত খেটে খাওয়া পরিবারের মেয়ে আমরা। যা পড়েছি ভুলে গিয়েছি। এই যে দীর্ঘদিন স্কুলে না যাওয়ার অভ্যাস সবটা ভুলিয়ে দিয়েছে। আমি বলেছি তাকে আমি হয়ত সবটা করতে পারব না। তবে যথাযথ চেষ্টা করছি।”
নন্দীগ্রামের বিরুলিয়াতে শুভেন্দু একটি পুজোর উদ্বোধন করেন এবং রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারকে এভাবে আক্রমণ করেন তিনি। এদিন শুভেন্দুর অনুষ্ঠানের আগে এলাকায় তৃণমূলীরা কালো পতাকা বেঁধে দিয়ে যায়। যাকে কেন্দ্র করেও কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
Be the first to comment