গোয়ায় কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট নিয়ে আশাবাদী নাফিসা আলি, সোনিয়ার কাছে আবেদন

Spread the love

গোয়ায় রাজনৈতিক জোটে এবার সরাসরি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে আবেদন জানালেন তৃণমূলের নেত্রী নাফিসা আলি। টুইটে গোয়ায় তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি নাফিসা আলির বক্তব্য, সোনিয়া গান্ধী চিদম্বরমের মাধ্যমে তৃণমূল নেত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করতেই পারেন। এ নিয়ে টুইটে আশাপ্রকাশও করেছেন নাফিসা আলি। ভোটমুখী গোয়ায় এখনও ২০ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাকি তৃণমূলের। এখন এই ২০ আসনে একা তৃণমূলই প্রার্থী দেবে নাকি অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের হাত ধরে নতুন করে হিসেবনিকেশ হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। নানা দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে তৃণমূল নেতৃত্বের। এর মধ্যে ২৩ তারিখ ফের তিনদিনের সফরে গোয়া যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলার বাইরে পশ্চিমের সৈকতরাজ্য গোয়ায় সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। সেখানে সংগঠন বিস্তার করে বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে পুরোদমে প্রস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দল। তৈরি হয়েছে রাজ্য কমিটি, মহিলা সংগঠনও। রাজ্য স্তরের সহ-সভানেত্রী হয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী নাফিসা আলি। গত বছর মমতার সফরে তিনি তৃণমূল  সুপ্রিমোর হাত ধরেই দলে যোগদান করেছিলেন। পরবর্তীতে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।

এর আগে কংগ্রেস নেত্রী ছিলেন নাফিসা আলি। সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। এই অবস্থায়  মমতার হয়ে সোনিয়াকে বার্তা পাঠানো তাঁর পক্ষে স্বাভাবিক। টুইটবার্তায় নাফিসা আলি তা খানিকটা প্রকাশও করেছেন। লিখেছেন, তিনি যতদূর সোনিয়া গান্ধীকে চেনেন, তাতে অহং বোধহীন মানুষ কংগ্রেস সভানেত্রী। তাই চিদম্বরমের মাধ্যমে চাইলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের হাত ধরার পদক্ষেপ নিতেই পারেন। 

এই মুহূর্তে গোয়ায় মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির হাত ধরে মোট ২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এর মধ্যে দুই দলের ১০ জন করে প্রার্থীর নাম জানানো হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও ২০টি আসন। এই বাকি ২০ আসনে তৃণমূল কি একাই লড়বে? নাকি অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট হবে? এই মীমাংসা এখনও বাকি। এদিকে, কংগ্রেস সম্পর্কে নিজেদের অবস্থানও একাধিকবার স্পষ্ট করেছে বাংলার শাসকদল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিজের মন্তব্য, ”কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ বিজেপিকেই ভোট দেওয়া।” এহেন সমীকরণের মাঝে নাফিসা আলির জোটবার্তায় কোন পথে চলবে গোয়ার বিরোধী রাজনীতি, সেদিকে নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*