চিড়িয়াখানায় ঠিকা শ্রমিকদের সংগঠনের দখল নিয়ে তুমুল উত্তেজনা আলিপুরে। চিড়িয়াখানার ঠিক সামনেই তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের জমায়েত। ঘটনাস্থলে আলিপুর থানার পুলিশ বাহিনী।
চিড়িয়াখানার কর্মী ইউনিয়ন এতদিন পর্যন্ত বিজেপির দখলে ছিল। অভিযোগ, সোমবার সকালে সেই ইউনিয়ন তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছে। চিড়িয়াখানার ইউনিয়ন রুমের সামনে বিজেপির পতাকা সরিয়ে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীরা রুম দখল করেন বলে অভিযোগ।
চিড়িয়াখানার মূল গেটের সামনেই ইউনিয়ন রুম। সোমবার সকালে সেই ইউনিয়ন রুমের দখল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় চিড়িয়াখানায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে দশটা-এগারোটা নাগাদ গোটা চত্বর ঘিরে ফেলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। দেখা যায়, দলীয় পতাকা হাতেই পাঁচিলের ওপর উঠে যান তৃণমূল কর্মীরা। ইউনিয়ন রুমের বাইরে বিজেপির পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেন। স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। খবর পেয়ে সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাতে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে এলাকায়।
এদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতা বলেন. “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে অবহেলিত। এখানে বিজেপি যে ইউনিয়ন রয়েছে, তাঁরা যেমন সিকিউরিটি গার্ডের ওপর অত্যাচার করে, তেমনই বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকেও পদদলিত করা হয়। আমরা এখানে কনট্রাকচ্যুয়াল বনদফতরের স্টাফ। আমরা সবাই মিলে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন এখানে নতুন ইউনিট স্থাপন করলাম। আমরা আশা রাখব, যারা বিপথে গিয়েছেন, একটা গুন্ডার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, তাঁরাও ফিরে আসুন।”
এই ঘটনার তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন রুম দখলের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। তাঁর দাবি, সোমবার সকাল ১১ টার সময় হঠাৎ করে তৃণমূল সমর্থকরা আলিপুর চিড়িয়াখানার গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে মহিলা কর্মীদের মারাধর করেন। পুনম থাপা নামে একজন মহিলাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, বিজেপি সমস্ত ফ্ল্যাগ ছিড়ে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি কর্মীরাও। প্রতিরোধ গড়ে তুললে, তাঁদের ওপরেও আক্রমণ হয় বলে অভিযোগ। রাকেশ সিংয়ের বক্তব্য, ৫-৬ জন বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাকেশ সিংয়ের আরও অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা পুলিশের সামনেই চিড়িয়াখানার কর্মীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। রাকেশ সিং জানিয়েছেন, এই ঘটনার বিচার চাইতে তিনি হাইকোর্ট পর্যন্ত যাবেন।
আলিপুর চিড়িয়াখানা জুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের আলাদা করার চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি ওপর নজর রাখছেন তাঁরা। এলাকায় নতুন করে যাতে সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রেখেছে পুলিশ।
Be the first to comment