শিয়রেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশের নির্বাচন নিয়ে মুখিয়ে আছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রচারে ত্রুটি রাখছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। বিজেপিও বেশ গুছিয়ে নেমে পড়েছেন লড়াইয়ের ময়দানে। দিল্লির হেভিওয়েট নেতারা উত্তর প্রদেশে যাচ্ছেন মানুষের কাছে শেষ মুহূর্তে নিজেদের ভাবমূর্তি ঝালিয়ে নিতে। বৃহস্পতিবার বিজেপির ফোকাসে উত্তর প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ আসন মথুরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং উত্তর প্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পশ্চিম উত্তর প্রদেশে ভোট প্রচারে গিয়েছেন। পশ্চিম উত্তর প্রদেশে ১০০ টিরও বেশি বিধানসভা আসন রয়েছে।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম উত্তর প্রদেশে ৭৬ শতাংশ আসন বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল। তবে গত বছরের কেন্দ্র তিনটি কৃষি আইন পাস করানোর পর পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কৃষকরা এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিল। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিম উত্তর প্রদেশে বিজেপির ভিত কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। সেই নড়বড়ে ভিতকে মজবুত করতেই রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারি মন্দিরে প্রার্থনা করেন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শক্তি মন্ত্রী কান্ত শর্মা। তিনি মথুরা বিধানসভা থেকে একজন প্রার্থীও।
অমিত শাহ এই প্রচার থেকে সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “আপনার দলের লোকদের কাছ থেকে নোটের বান্ডিল বের হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ এখন আইনকানুন আছে। যোগী সরকার গুন্ডা, সন্ত্রাস ও দাঙ্গামুক্ত উত্তর প্রদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। ” এরপর অখিলেশকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “অখিলেশ যাদব বিনামূল্যে বিদ্যুতের কথা বলেন, যাঁরা বিদ্যুৎই দিতে পারেননি, তাঁরা কী বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেবেন?” মথুরায় মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর মথুরায় কলেজ চত্বরে ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন সিনিয়র নেতা অর্জুন মেঘওয়াল, লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরীও। মথুরায় নির্বাচনী প্রচার শেষে অমিত শাহ দাদরি এবং নয়ডাতে যাবেন প্রচারের জন্য। অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী অমিত শাহ দাদরির গৌতম বুদ্ধ নগরে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করবেন দুপুর ৩.১৫ মিনিটে।
উল্লেখ্য, আগামী মাসে সাত দফায় উত্তর প্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচন হবে মথুরা আসনে। গোটা পশ্চিম উত্তর প্রদেশে তিন দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, ১০ মার্চ জানা যাবে চূড়ান্ত ফলাফল।
Be the first to comment