কমলো রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কমেছে সংক্রমণের হারও। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের শনিবার সন্ধের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৩ হাজার ৫১২ জন। যা শুক্রবারের তুলনায় বেশ কিছুটা কম। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। তিলোত্তমায় ৪৫৯ জনের শরীরে হানা দিয়েছে ভাইরাস। উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমিত ৪৩৩ জন। তার ফলে আক্রান্তের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাটি। বাংলায় মোট কোভিড আক্রান্ত ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার ১৭৯ জন।
এদিকে এদিন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১১ হাজার ২৮৮ জন। ফলে সুস্থতার হার দাঁড়াল ৯৭.০৬ শতাংশ। ফলে এদিন রাজ্যের করোনাজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৭১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। টানা ১৫ দিন ৩০-এর উপরই রইল মৃত্যু। শনিবার মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। ভাইরাসের ছোবলে এখনও পর্যন্ত করোনা মোট ২০ হাজার ৫৫০ জনের প্রাণ কেড়েছে। কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতা থেকে মিলেছে মৃত্যুর খবর।
এদিন নমুনা পরীক্ষা কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২ হাজার ১২৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৩১ লক্ষ ২৬ হাজার ১৫৭জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট নেমেছে ৬ শতাংশের নিচে। সংক্রমিতের হার দাড়িয়েছে ৫.৬৫ শতাংশ। কোভিড রুখতে টিকাকরণের উপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন ৭ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৬ জন টিকা নিয়েছেন। প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮০ হাজার ৯৪ জন। বাকি ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৪৫ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
করোনার চোখরাঙানি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে সামান্য উদাসীনতাও বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই যথাযথ কোভিডবিধি মেনে চলার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপরেই জোর দিচ্ছেন তাঁরা। তবে তা সত্ত্বেও নিয়ম ভঙ্গকারীও রয়েছেন অনেকেই।যারা মাস্ক পরছেন না, তাদের ধরপাকড়ও জারি রেখেছে প্রশাসন।
Be the first to comment