এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, এই বাজেট দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। গরিবদরদী বাজেট। পাশাপাশি তাঁর মতে, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে যেমন এগিয়ে দেবে এবারের বাজেট, তেমনই সাধারণ মানুষের জন্য অনেক নতুন সুযোগও এনে দেবে এবারের বাজেট। এককথায় বাজেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী।
অতিমারীর কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ১০০ বছর পরে যে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তার মধ্যেই বিকাশের নতুন বিশ্বাস নিয়ে এসেছে এবারের বাজেট। তিনি জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্যও অনেক নতুন সুযোগ এনে দেবে এবারের বাজেট। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও পরিকাঠামো, আরও বিনিয়োগ,আরও বৃদ্ধি, আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দিয়েছে এবারের বাজেট। এনেছে একেবারে এক নতুন এক সম্ভাবনা। গ্রিন জবসের সুযোগ। সাম্প্রতিক সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যতের কথাও ভাবা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, এখনও পর্যন্ত বাজেট নিয়ে সব ক্ষেত্র থেকেই সদর্থক সাড়া মিলেছে। তাঁর কথায়, আমি দেখতে পাচ্ছি, যেভাবে এই বাজেটকে সব স্তর থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে, তা আমাদের জনতা জনার্দনের সেবার উৎসাহকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মোদীর মতে, এবারের বাজেটের মূল ফোকাসই ছিল গরিবের কল্যাণের দিকে। এর ফলে সকলেরই রোজগারের সুযোগ বাড়বে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে বলেও জানান মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে এই প্রথম শুরু করা হচ্ছে পর্বতমালা প্রকল্প। এর ফলে পাহাড়ে যানবাহন চলাচলের আধুনিকীকরণ সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২-২০২৩ আর্থিক বর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হয়েছে মঙ্গলবার। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভিকে বিজয় কুমার নামে এক বাজেট বিশেষজ্ঞের মতে, এবারের বাজেট অনেক বেশি বাস্তবমুখী। মনে করা হচ্ছিল, সামনেই পাঁচ রাজ্যের ভোটের দিকে তাকিয়ে হয়তো ভোটমুখী বাজেটের পথে হাঁটবে কেন্দ্র। কিন্তু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ তাঁর জীবনের চতুর্থ যে বাজেট পেশ করেছেন তাতে সেই ভাবে ভোটকে পাখির চোখ করা হয়নি। বরং অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে তাকিয়েই বাজেট করা হয়েছে বলেই মত তাঁর।
Be the first to comment