পিএসসি-তে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দফতর কেন এত নিয়োগে ঢিলেমি করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজ্যের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক থেকে সরাসরি বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পিএসসিটাকেও ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট বলে দেবে ইমিডিয়েটলি নিয়োগ করতে। ওরা বসে বসে টুক টুক করে করে। আরে আমি রিক্রুমেন্ট অ্যালাও করে দিয়েছি, তোমাদের করতে এত সময় লাগে কেন?” পুলিশেও নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবারই পিএসসি অফিসের সামনে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। দুর্নীতিগ্রস্তদের শণাক্ত করে দ্রুত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, মেধা তালিকা প্রকাশের সময়ে রোল নম্বরের পাশাপাশি চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে- এই সব একাধিক দাবি লেখা পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা।
বুধবার সকালেও তাঁরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে জড়ো হন। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে এইভাবে দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ রাখতে চলবে না। তাতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বয়স একদিকে যেমন বেড়ে যাচ্ছে, তেমনি চাকরিতে নিয়োগ না করতে পেরে মনোবলও ভেঙে পড়ছে অনেকের।
এর আগেও গত বছর অগাস্ট মাসে একই দাবিতে পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। পিএসসি দুর্নীতি মঞ্চের পক্ষ থেকে সেবার একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের আইসিডিএস, নক্লার্কশিপ, মিসলেনিয়াস ও ডব্লিউ বিসিএস গ্রুপ সিওডি পরীক্ষার মেধা তালিকা দ্রুত প্রকাশের দাবি তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার্স, কেপিএস, ফায়ার অপারেটর্স, লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট, স্কুল এসআই, ফুড এসআই-সহ বিভিন্ন পদে দ্রুত নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন, তিনি নিয়োগের ক্ষেত্রে সবুজ সঙ্কেত দিয়েই দিয়েছেন। ঢিলেমি হচ্ছে দফতর থেকেই। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর দ্রুত পিএসসিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলেই আশাবাদী চাকরিপ্রার্থীরা।
Be the first to comment