তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘিরে বিক্ষোভ চরমে। একদিকে যখন ভুয়ো তালিকা ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। অন্যদিকে, তালিকায় প্রার্থীদের নাম দেখে নির্বাচনি কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন খোদ মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮ পুরসভার ভোট। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে একটি কমিটি গঠন হয়, যেখানে পাঁচ সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন অখিল গিরি। কিন্তু এ দিন তালিকা দেখেউ ক্ষুব্ধ হন তিনি। সুব্রত বক্সিকে ফোন করে কমিটি থেকে পদত্যাগ করার কথা জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বাছাই করা নাম বাদ দিয়ে সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা নেতাদের দেওয়া হয়েছে টিকিট। ‘দাদার অনুগামী’ বলে পরিচিত, ‘দাদার’ সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন নেতাকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
যদিও এ দিন প্রথম যে প্রার্থী জেলায় জেলায় পৌঁছয়, তা ভুয়ো বলে দাবি করে তৃণমূল। পরে আবারও তালিকা পাঠানো হয়। তবে প্রথম তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ে অশান্তি। সেই তালিকায় দেখা যায়, নাম রয়েছে অতনু গিরি, দিলীপ কুমার মাইতি ও তরুণ কুমার বেরার। ৭, ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টিকিট পেয়েছেন তাঁরা। অতনু ও তরুণ কয়েক দিন আগেই পদ্ম শিবির থেকে তৃণমূলে ফিরেছিলেন। আর দিলীপ শুক্রবার সকালে। অতীতে জোড়াফুল শিবিরে ছিলেন এঁরা। পরে দলবদল করেন।
এ দিন যখন তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ চলছে, তখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানান, তাঁর বাছাই করা নামে অনুমোদন মেলেনি। মন্ত্রীর অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন নেতার নামও রয়েছে তালিকা। তিনি বলেন, ‘আমি যে তালিকা পাঠিয়েছি। সেই তালিকায় অনুমোদন দেয়নি। এখনও বিজেপিতে আছে এমন ১-২ জনের নাম এই তালিকায় আছে। এখনও দাদার অনুগামী হিসেবে যারা চিহ্নিত ছিল, এখনও যাদের দাদার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, তাঁরা এই প্রার্থী তালিকায় কী ভাবে জায়গা পেল আমি জানি না। আমি এই তালিকা দেখে মর্মাহত।’ তাই কমিটি থেকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এই নামগুলো প্রার্থী তালিকায় থাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলকর্মীরা। কাঁথিতে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
সূত্রের খবর, ওই কমিটিতে ছিলেন উত্তম বারিক। তাঁর হাত ধরে সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা বেশ কয়েকজন নেতা টিকিট পেয়েছেন বলে অভিযোগ। যাঁরা অখিল গিরি পছন্দের তালিকায় ছিলেন না। তাঁর পাঠানো নাম তালিকায় নেই বলেই দাবি মন্ত্রীর। আর সেই কারণেই ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। তবে সংশোধিত তালিকায় এই নামগুলো বাদ পড়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Be the first to comment