দার্শনিক রামানুচার্যের ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদীর

Spread the love

অপেক্ষার অবসান। দেশে প্রতিষ্ঠিত হল একাদশ শতাব্দীর সাধক ও দার্শনিক সন্ত রামানুচার্যের মূর্তি – ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ বা সাম্যের মূর্তি। পশ্চিম ভারতে রয়েছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’, আর এবার দাক্ষিণাত্যের মাটিতে বসল ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’। আর জোড়া মূর্তিতে বিশ্বের উচ্চতম এবং বৃহত্তম মূর্তি তৈরির রেকর্ড গড়ল ভারত। শনিবার বসন্ত পঞ্চমীর পুণ্য তিথিতে হায়দরাবাদের সামশাবাদের দার্শনিক সন্ত রামানুচার্যের পঞ্চধাতুর মূর্তি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

শনিবার সন্ধেবেলা সামসাবাদে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী নিজে সমস্ত আচার পালন করেন। হলুদ বস্ত্র, কপালে তিলক নিয়ে পূজারির বেশে তিনি যজ্ঞে অংশ নেন। তারপর সন্ধ্যারতি করে ২১৬ ফুটের ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’র উদ্বোধন করেন। মূর্তিটিকে তিনি জ্ঞান ও বুদ্ধির মূর্ত প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, ”রামানুচার্যের বাণী, তাঁর দেখানো পথের কথা নানা সময়ে দেশের নানা সাধুসন্তরাই বলে এসেছেন। আমরা চাই, তাঁর আদর্শ ছড়িয়ে যাক গোটা বিশ্বে। রামানুচার্যের পথে এগিয়ে আমাদের জ্ঞানবৃদ্ধি হোক, এটাই আশা। তাছাড়া এই মূর্তি দেশের প্রাচীন ইতিহাসকে চোখের সামনে নিয়ে আসবে।” 

আসলে ৫ ফেব্রুয়ারি রামানুচার্যের ১০০৩তম জন্মবার্ষিকী। তাই ওই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল তাঁর মূর্তি উদ্বোধনের জন্য। ১ হাজার কোটি টাকায় তৈরি হয়েছে প্রকল্প। আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু ত্রিদণ্ডী চিন্না জিয়ার স্বামী যে মন্দির স্থাপন করেছেন, সেখানেই স্থাপন করা হবে মূর্তিটি। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। চলবে ২ সপ্তাহ। শনিবারের অনুষ্ঠানে মোদির পাশাপাশি ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। 

জানা গিয়েছে, ২১৬ ফুটের এই মূর্তিটি পঞ্চধাতুতে নির্মিত। সোনা, রুপো, তামা, পিতল, দস্তার সমন্বয়ে তৈরি মূর্তির চারপাশে ১০৮টি কালো পাথরে খোদাই করা ছোট মন্দির রয়েছে। ভিতরের কক্ষে আরও একটি মূর্তি। সেটি তৈরি হয়েছে ১২০ কেজি সোনা দিয়ে। ২১৬ ফুটের এই মূর্তিটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মূর্তি। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*