পঞ্জাব নির্বাচনের আগেই জেলের বাইরে বেরোচ্ছেন দেরা সাচা সওদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং ইনসান। ২১ দিনের প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকেই রোহতাকের সুনারিয়া জেলে রয়েছেন গুরমিত। একজন সাধ্বীকে ধর্ষনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত বছর তাকে ডেরার দুই অনুগামীকে খুনের অভিযোগে পাকড়াও করা হয়। তবে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখন্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার ঘটনাটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই তিন রাজ্যেই রাম রহিমের প্রভাব অনেকটা। ডেরার প্রভাবও অনেকটা ওই তিন রাজ্যে। এ প্রসঙ্গে হরিয়ানার জেল মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্যারোলে মুক্তি পাওয়া তো প্রত্যেক কয়েদির অধিকার। সেক্ষেত্রে তো আমরা বাধা দিতে পারি না। ক্লিয়ারেন্স পেলে প্যারোলের ছাড়া পাবেন উনি। গত বছরও নিজের অসুস্থ মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন রাম রহিম।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ডেরার প্রাক্তন ম্যানেজার রঞ্জিৎ সিংকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিম। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। রাম রহিমের চার সহযোগী কৃষ্ণাণ লাল, জসবীর সিং, অবতার সিং ও শবদিলকেও একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের অনুগামী ছিলেন রঞ্জিৎ সিং। কিন্তু, রাম রহিমের বিরুদ্ধে দু’জন শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় রঞ্জিৎ সিংয়ের বিশ্বাসে ধাক্কা লেগেছিল। তাঁর সঙ্গে মতপার্থক্য হয় ডেরা প্রধানের সঙ্গে। এরপরে ২০০২ সালের ১০ জুলাই কুরুক্ষেত্রের খানপুর কোলিয়া গ্রামের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হয় রঞ্জিৎ সিংয়ের দেহ। তাঁর ছেলে জগসীর সিং এরপরেই অভিযোগ রুজু করেন।
CBI -এর চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছিল, ডেরার প্রাক্তন ম্যানেজার খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গুরমিত রাম রহিম সিং। এছাড়াও গুরমিত রাম রহিমের বিরুদ্ধে বুর্জ জহর সিং ওয়ালা গুরুদ্বার থেকে বীর (প্রতিলিপি) চুরির অভিযোগও রয়েছে। গত বছর অক্টোবর মাসেই রাম রহিম সহ বাকিদের দোষী সাব্যস্ত করে CBI -এর বিশেষ আদালত।
Be the first to comment