পদ্ম ছেড়ে ফের ‘হাত’ ধরলেন সুদীপ রায় বর্মন, আশিস সাহা। বিজেপি ছাড়ার পর থেকেই ত্রিপুরার এই দুই বিধায়কের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা জোরাল হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন সুদীপ রায় বর্মন ও আশিস সাহা। এরপরই কংগ্রেসে ফেরার কথা ঘোষণা করেন তাঁরা। একেবারে কংগ্রেসের উত্তরীয় গলায় ঝুলিয়ে দেখা যায় তাঁদের। রাহুলের বাড়িতে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রাও।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সংবাদসংস্থা এএনআইকে সুদীপ রায় বর্মন জানান, আরও বহু বিজেপি বিধায়ক দল ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রত্যেকেরই মোহভঙ্গ হয়েছে বলে দাবি ত্রিপুরার প্রাক্তন এই মন্ত্রীর। আশিস কুমার সাহা ও সুদীপ রায় বর্মন দু’জনই সোমবার ত্রিপুরা বিধানসভা ও বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েন। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, তাহলে কি এবার ‘ঘরওয়াপসি’র পথে হাঁটবেন তাঁরা? দেখা গেল তেমনটাই হল।
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মনের ছেলে সুদীপ রায় বর্মন। ছোট থেকে কংগ্রেসী ঘরানায় বড় হওয়া সুদীপ মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন ২০১৬ সালে। যোগ দিয়েছিলেন আশিস সাহাও। যদিও এক বছর ঘুরতে না ঘুরতে বিজেপি শিবিরে গিয়ে ঢোকেন তাঁরা। যদিও ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পরই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে হয় তাঁকে। ক্ষোভ বিক্ষোভের ধিকি ধিকি আগুন জ্বলছিলই। অবশেষে বিস্ফোরণ ঘটে সোমবার।
ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তীর কাছে ইস্তফাপত্র দেন সুদীপ, আশিসরা। তাঁদের বক্তব্য ষড়যন্ত্র চলছে। যে কারণে পরিবর্তন এনেছিলেন ত্রিপুরার মানুষ তা পূরণ হয়নি। উল্টে সাধারণ মানুষকে বলতে দেওয়া হয় না। সংবাদমাধ্যমের উপর ভয়, হুমকি, প্রভাব খাটিয়ে সত্যিকে চেপে দেওয়া হয়। এই দুই বিধায়ককে নিয়ে নানা জল্পনা চলছি। এমনও জল্পনা ছিল, মুকুল রায় ফেরার পর তাহলে কি আবারও তৃণমূলে ফিরবেন তাঁরা। অবশেষে সেসব জল্পনার ইতি। কংগ্রেসের হাতেই হাত রাখলেন সুদীপ, আশিসরা।
Be the first to comment