গরুপাচার কাণ্ডে এবার দেবকে নোটিশ সিবিআইয়ের

Spread the love

গরু পাচার মামলায় এবার নয়া মোড়। তারকা অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেবের কাছে এবার গরু পাচার মামলায় নোটিস পাঠাল সিবিআই। ১৫ ফেব্রুয়ারি দেবকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরার জন্য অভিনেতা – সাংসদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম যে চক্রী এনামুল হকের সঙ্গে দেবের বেশ কিছু যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সব যোগসুত্রগুলির বিষয়েই আরও খতিয়ে দেখার জন্যই দেবকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। তাঁকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কোনও নতুন তথ্য পাওয়া যায় কি না, সেই জন্যই ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তাঁকে গরু পাচার সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং তাঁর যাবতীয় বয়ান রেকর্ড করা হবে। কীভাবে গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র পাওয়া গেল, তিনি কীভাবে এনামুল হককে চিনতেন, কবে থেকে তাঁদের মধ্যে পরিচয়, এই সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়েই আরও বিস্তারিত জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই কারণেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে সকাল ১১ টা নাগাদ অভিনেতা সাংসদ দেবকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেবের কাছে সেই নোটিস পৌঁছে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের থেকে নগদ কয়েক লাখ টাকা ও ঘড়ি-সহ বেশ কিছু উপহার নিয়েছিলেন দেব। সময়টা ছিল ২০১৭-১৮ সাল। সিবিআইয়ের কাছে বয়ানে এই কথা জানিয়েছেন এনামুল হক। সেই বয়ানের সূত্রেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে দেবকে।

গরু পাচার মামলায় অভিনেতা সাংসদ দেবকে সিবিআইয়ের তলব প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অসিত মিত্র তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, “দেব যদি কোনও অপরাধে অপরাধী না হন, তাহলে তাঁকে ডাকলে অসুবিধা কীসের? ওঁর এটা ফেস করা উচিত।”

উল্লেখ্য, গতমাসেই গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এনামুল দীর্ঘদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন। সেই সময় একাধিকবার সিবিআই আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রত্যেকবারই তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এরপর হাইকোর্টেও গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু সেখানেও জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত এনামুল হক এবং গত মাসের শেষের দিকে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে শীর্ষ আদালত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*