গত মঙ্গলবারই প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের চুক্তি ভেঙে যাওয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়। বলেছিলেন যে এর ফলে ক্ষতি হবে তৃণমূলের কারণ, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিশাল জয়ের পিছনে আইপ্যাকের অবদান অনস্বীকার্য।
তার পর ৪৮ ঘণ্টাও কাটল না সতর্কিত হলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হল যে, আইপ্যাকের ব্যাপারে তাঁর এই মন্তব্যকে ভাল চোখে দেখছে না নেতৃত্ব এবং ভবিষ্যতে সৌগত যেন এই সমস্ত স্পর্শকাতর ইস্যুতে একটু বুঝে শুনে কথা বলেন।
যদিও এই তৃণমূলের তরফে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে অস্বীকার করেছেন ৷ তবে শাসকদলের একটি সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সৌগতকে ফোন করে এই সতর্কবার্তা দেন তৃণমূল কংগ্রেস কোর কমিটির সদস্য ও লোকসভার এক সাংসদ। এই ব্যাপারে কোনও মন্ত্যব্য করতে রাজি হননি সৌগত রায়। তিনি এটি দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে এড়িয়ে যান।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তি করে তৃণমূল ৷ তার পর তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের জন্য একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তারা ৷ যার সুফল গত বিধানসভা ভোটেও পড়ে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। পাশাপাশি তৃণমূলের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বৈঠকেও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে দেখা গিয়েছে ৷
কিন্তু সাম্প্রতিক পৌরনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মতান্তর শুরু হয়েছে বলে খবর ৷ প্রশান্ত নাকি আর তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নন ! তবে এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনওপক্ষই কোনও ঘোষণা করেনি ৷ কিন্তু তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, ১০৮টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তার দায় দলের তরফে পিকে-র সংস্থার উপরই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আর তার থেকেই এই বিবাদ ৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিবাদ যতই থাক, তৃণমূল এখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে কিছু আনতে চাইছে ৷ তাতে হয়তো পৌরনির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে ৷ সেই কারণেই সম্ভবত দমদমের সাংসদ সৌগত রায়কে আইপ্যাক নিয়ে মুখ কুলুপ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
Be the first to comment