আইপ্যাকের সঙ্গে সংঘাত থেকে শুরু করে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি। বিভিন্ন ইস্যুতে দলনেত্রীর সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের? বেশ কিছু ঘটনায় এই প্রশ্ন সামনে এসেছে। অন্তর্দ্বন্দ্বের সেই আবহে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বৈঠকের আগেই মুখোমুখি হলেন অভিষেক- মমতা। শনিবার বিকেল পাঁচটায় কালীঘাটে বসবে জরুরি বৈঠক। দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে সেই বৈঠকে। আর তার আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতা একান্ত বৈঠকে বসেছেন বলে সূত্রের খবর। মত পার্থক্য পুরোপুরি মিটেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, কিছু সমাধান সূত্র যে বেরিয়ে এসেছে, তেমনটাই মনে করছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।
‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ ও কোভিড আবহে পুরভোট নিয়ে অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রকাশ। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। তবে গত কয়েকদিনে চিড় যেন ফাটলে রূপান্তরিত হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বার্তা দেওয়ার পরও যুব নেতারা দাবি করেছেন নেত্রী বললে তবেই মেনে নেবেন তাঁরা। ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন দলের একাংশ। এ ছাড়া প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তির পাশাপাশি আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের চুক্তি শেষ কি না, এ সব প্রশ্নও সামনে এসেছে। সেই অস্থিরতা সামাল দিতেই ময়দানে নেমেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার বিকেল ৫টায় দলের শীর্ষস্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা। দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর। সেখানেই থাকার কথা ছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কাজ চালানোর জন্য একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। সেই কমিটিতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সী, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দলের কার্যনির্বাহী কমিটি এখনও তৈরি না হওয়ায় এই অস্থায়ী কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই কমিটির সদস্যরাই শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে থাকবেন। সেই বৈঠকের আগেই দলনেত্রীর সঙ্গে কথা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তবে মতপার্থক্য মিটল কি না, সেই বিষয়টা এখনও স্পষ্ট নয়। দলের একাংশের মতে, মতপার্থক্য এত তাড়াতাড়ি নাও মিটতে পারে। দলীয় নেতৃত্ব মনে করছে, মমতা ও অভিষেক দুই প্রজন্মের নেতা নেত্রী। একজনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও আর একজন তরুণ। ফলে দুজনের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। দুজনেই দলের ভালোর জন্য কিছু পদক্ষেপ করছেন, যা আপাত দৃষ্টিতে সংঘাত বলে মনে করছেন অনেকে। এ দিনের বৈঠকে দলনেত্রী কোনও বার্তা দেন কি না, সেদিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
Be the first to comment