‘এক ব্যক্তি এক পদ’। তৃণমূলে আপাতত এই স্লোগান নিয়ে শোরগোল। দলনেত্রীর বলা এই নির্দেশের সমর্থনে পোস্ট করে অনেকেই রোষের মুখে পড়েছেন। শুক্রবারই এনিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম। তার জেরেই শনিবার বদলে গেল রাজ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সোশ্যাল মিডিয়ার কভার ছবি। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’-এর ছবি বদলে তিনি নিজের সঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের ছবি রাখলেন ফেসবুকের কভার হিসেবে। তবে এদিনও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ পোস্ট নিয়ে সমর্থনের পোস্ট দেখা গেল ফেসবুকে। যদিও তাঁর দাবি, পোস্টটি তিনি নিজে করেননি।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয় হ্যাশট্যাগ আই সাপোর্ট ওয়ান পার্সন ওয়ান পোস্ট ইন এআইটিসি (#ISUPPORTONEPERSONONEPOSTinAITC)। ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির সমর্থনে ছাত্র যুব সংগঠনের অনেককেই একই পোস্ট করতে দেখা যায়। সুদীপ রাহা, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের মতো তরুণ ব্রিগেডের অনেকের ফেসবুক প্রোফাইলের কভারও রাতারাতি বদলে যায়। তরুণ নেতাদের সমর্থন জানিয়ে একই টুইট করতে দেখা যায় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও। পরে টুইটটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। ফেসবুকেও একই কভার ছিল তাঁর।
কিন্তু দলের বার্তা পেয়ে শনিবার সকালে তিনি বদলে ফেললেন কভার ছবি। দেখা গেল, মাঝে ঘাসফুল, দু’দিকে তেরঙ্গা। একপ্রান্তে মমতা এবং আরেকদিকে চন্দ্রিমা। যেন দু’জন জুড়ে রয়েছেন ওই ঘাসফুলের সূত্র ধরে। আর এতেই তিনি বার্তা দিলেন, দল, দলনেত্রীই সব। নিজেকে দলেরই একনিষ্ঠ সদস্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টায় এই ছবি, এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
তবে শনিবার আবার নৈহাটির বিধায়কের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ফের বিতর্ক উসকে উঠল। তিনি #ISUPPORTONEPERSONONEPOST পোস্ট করেছেন নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে। যদিও বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তিনি নিজে পোস্টটি করেননি। তাহলে কে করেছে? এই প্রশ্নও উঠছে। কারণ, এর আগে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, #ISUPPORTONEPERSONONEPOST পোস্টটি তিনি নিজে করেননি। জানিয়েছিলেন, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করে ভোটকৌশলী সংস্থা আই-প্যাক (I-PAC)।
কিন্তু তাঁর এই দাবি খারিজ করে পালটা টুইট করে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। আই-প্যাকের টুইটে সাফ জানানো হয়, ওই সংস্থাটি তৃণমূল কিংবা রাজ্যের শাসকদলের কোনও নেতানেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ কিংবা অ্যাকাউন্ট হ্যান্ডেল করে না। যাঁরা এই দাবি করছেন তাঁরা হয় কিছু জানেন না কিংবা তা ডাহা মিথ্যা। তৃণমূলের তদন্ত করে দেখা উচিত কে বা কারা দল কিংবা নেতানেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় হস্তক্ষেপ করল। তাহলে পার্থ ভৌমিকের পোস্টটি কার? প্রশ্ন থাকছেই, উত্তর এখনও অধরা।
Be the first to comment