নিজ কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা

Spread the love

নিজের কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর অনলাইনে নাম উঠেছে ভোটার তালিকায়। এলআইসি ক্যান্টিন ভোট কেন্দ্রে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট দিতে এসে জানতে পারলেন সেখানে তাঁর নামই নেই। ভোট না দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি। জানান অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম ও ভোট কেন্দ্রের নাম থাকলেও এখানে নাকি ভোটার লিস্টে তাঁর কোনও নামই নেই। আর এই গাফিলতির দায় চাপিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর।

ঠিক কী অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের? অগ্নিমিত্রা অভিযোগ করেন, ভোট দিতে এসেছিলেন। অনলাইনে ফোনে তাঁর কাছে তালিকাও রয়েছে। সেই তালিকায় তাঁর নাম, ভোটকেন্দ্র ও অন্যান্য সমস্ত তথ্য দেওয়া রয়েছে। কিন্তু ভোট দিতে এসে তিনি জানতে পারেন অফলাইনে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তাঁর নাম নেই। আর সেই তালিকায় নাম না থাকলে তিনি ভোট দিতে পারবেন না। ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁকে বলা হয়, এ বছর কোনওভাবেই তিনি ভোট দিতে পারবেন না। পরের বার যখন ভোট হবে তখন আসতে।

অগ্নিমিত্রার কথায়, “আমাকে তো ভোটই দিতে দেওয়া হল না। আমি ঢুকতে গেলাম আমায় বলল, ‘আপনার নাম নেই, পরের বার আসবেন। এ বার আপনি ভোট দিতে পারবেন না।’ আমি নির্বাচন কমিশনে মেইল করেছি। এটা পুরোটাই ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্র করে আমাকে  পুলিশ বাধা দিল, এখন ভোট দিতে দেওয়া হল না। এগুলো ইচ্ছে করেই করা হচ্ছে।”

শনিবার সকাল থেকেই অগ্নিমিত্রার আসানসোলের বাড়ির সামনে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। পরে তিনি বাড়ি থেকে বেরতে গেলে তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ি কিছুটা এগোতেই রাস্তা আটকায় পুলিশের একটি গাড়ি।

এ দিন পুলিশ তাঁকে যেতে বাধা দিলে আসানসোলের দায়িত্বে থাকা কমিশনের আধিকারিককে ফোন করেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। তিনি জানান, তাঁকে পুলিশ এগোতে দিচ্ছে না। সব শুনে তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দেন কমিশনের আধিকারিক। অগ্নিমিত্রা জানিয়েছেন, কমিশনের তরফে তাঁকে বলা হয়েছে, ভোট দিতে যেতেই পারেন। এরপর তাঁকে যেতে দেওয়া হয়।

প্রশ্ন ওঠে, কমিশন যখন যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে, তখন কেন আটকাচ্ছে পুলিশ? অগ্নিমিত্রার দাবি, এটা পূর্ব পরিকল্পিত একটা চক্রান্ত। বুথ লুঠ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেই বিরোধীদের এ ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।এ দিন সকালেই আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, অগ্নিমিত্রা পাল আসানসোলের ভোটার নন, তা সত্ত্বেও তিনি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে, মলয় ঘটক দাবি নস্যাৎ করে অগ্নিমিত্রা জানিয়েছেন তিনি আসানসোলের ভোটার, ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর।

শনিবার আসানসোলে পুরভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে এখানে। কোথাও মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কোথাও আবার বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ ঘিরে বারবার শিরোনামে উঠে আসে আসানসোল। এবার আসানসোল দক্ষিণের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে।

অন্যদিকে, আর এক বিজেপি নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ভোটের দিন সকালেই নোটিস দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরছেন বুথে বুথে। পুলিশের নোটিস পাওয়ার পরই তাঁর নিরাপত্তায় থাকা সশস্ত্র বাহিনী সরিয়ে দেন জিতেন্দ্র। শুক্রবার রাত থেকেই শাসক- বিরোধী সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আসানসোল। বহিরাগত এনে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*