দলের অভ্যন্তরীণ কলহ নিয়ে যাবতীয় বিভ্রান্তি দূর করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কালীঘাটে দলের শীর্ষস্তরের ৭ জন নেতানেত্রীকে নিয়ে প্রায় ৫০ মিনিটের একটি বৈঠক করেন মমতা। এর পাশাপাশিই আলাদা করে সুব্রত বক্সি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তিনি। প্রায় আধঘণ্টা দলের দুই সেনাপতির সঙ্গে কথা বলেন নেত্রী। দলের প্রবীণ এবং নবীন নেতাদের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে তা দূর করে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন মমতা।
গত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যম তথা সোশ্যাল মিডিয়ার নানারকম প্রচারের ফলে তৃণমূলের অন্দরে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। জানা গিয়েছে, দশ রকম সরকারি কাজের মধ্যে দলের ভিতরের এই টানাপোড়েনে যথেষ্ট বিরক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। বিষয়টি নাকি দাঁড়িয়ে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সির মতো অতি সিনিয়র ও পুরনো নেতার সঙ্গে আইপ্যাক ও অভিষেকের সম্পর্কের উপর। কিন্তু এদিন দুই শীর্ষ নেতাকে আলাদা করে ডেকে নেত্রী বুঝিয়ে দেন, আগামী দিনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সামনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন আছে। তাতে একজোট হয়ে লড়তে হবে।
বস্তুত, এদিন কালীঘাটে দলের মূল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় স্তরের সব কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন একটি কর্মসমিতি গঠন করেছেন। সেই সঙ্গে দলের জাতীয় স্তরের সব পদ অবলুপ্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকের শুরুতেই উপস্থিত ৭ জন নেতা লিখিতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেন, এখন থেকে দল সম্পর্কে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ন্যস্ত থাকবে শুধু নেত্রীর হাতে। তারপরই সব পদ অবলুপ্ত করে দিয়ে ২০ জনের কর্মসমিতি গঠন করা হয়েছে। আগামী দিনে পদাধিকারীদের নামও নেত্রী নিজেই ঠিক করবেন।
সব পদ অবলুপ্ত করে দেওয়ার ফলে সুব্রত বক্সী বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেউই আপাতত দলের পদাধিকারী নন। এই পরিস্থিতিতে এই দুই নেতাকে নিয়ে মমতার বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment