তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে হত্যার চক্রান্ত ফাঁস! গ্রেফতার ৩

Spread the love

তৃণমূল বিধায়ক শওকাত মোল্লাকে খুনের হুমকিতে চাঞ্চল্য ছড়ালো দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। তাঁকে ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পূর্ব ক্যানিংয়ের তৃণমূল বিধায়কের। এই ঘটনার পেছনে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ জড়িত রয়েছে বলে দাবি শওকত মোল্লার।

প্রাণনাশের হুমকি পেয়েই রবিবার পূর্ব ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানার দ্বারস্থ হন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। পুলিশের কাছে হুমকি দিয়ে সেই ফোনের কল রেকর্ডিং জমা দেন তিনি। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ পেয়েই ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে জীবনতলা থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে রবিবার ভাঙড়ের কাছে একটি বাগান থেকে একটি পুলিশ স্টিকার লাগানো সুমো গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে ।‌ তাঁদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্রও। ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে তা জানতে ধৃতদের জেরা করছে জীবনতলা থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, শওকত মোল্লাকে হত্যার চক্রান্ত এর কথা প্রথম জানতে পারেন তাঁর একসময়ের অনুগামী। চক্রান্তের কথা জানা মাত্রই ফোন করে তিনি সতর্ক করেন তৃণমূল বিধায়ককে। অনুগামীর কথায়, রাজনৈতিক অসন্তোষের জেরেই তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে দুষ্কৃতীরা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এলাকায় ‘ছেলে’ জোগারের চেষ্টাও চালাচ্ছে তাঁরা। পূর্ব ক্যানিং-র বাগমারি এলাকা কিংবা ঝোড়ের মোড় এলাকাতেই তাঁকে হত্যাপ পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ। তারপর হুমকি পাওয়া মাত্রই পুলিশের দ্বারস্থ হন পূর্ব ক্যানিং-এর বিধায়ক। শুধুমাত্র আই এস এফ নয়, তাঁকে হত্যার চক্রান্তের পেছনে বিজেপির যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ শওকত মোল্লার। ‌

রবিবার ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা।এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভ মিছিল তারপর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে শওকাত অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় দেউড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শাহজাহান মোল্লা নামের জনৈক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় দেখা যায় উত্তেজনা। উল্লেখ্য, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা এবার পুরসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার তৃণমূলের নির্বাচনী কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধুষ্যিত ওই এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব ছিল আইএসএফের। শাসক দলের কাছে বিরোধীরা ধরাশায়ী হলেও বামেদের সঙ্গে জোট করে ভাঙড়ে একটি মাত্র আসন জেতে আইএসএফ। যেখানে প্রার্থী ছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*