দুর্নীতি নিয়ে দলকে সতর্ক থাকতে হবে। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মন্তব্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতার সুরেই দলকে সতর্কবার্তা অভিষেকের। শুক্রবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আজকের বৈঠকেও আগের দিনের মতোই আগাগোড়া চুপচাপ ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সঙ্গে একটি লাইন সংযোজন করেন, আমাদের দুর্নীতির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। দুর্নীতির বিষয় মমতার সুরেই দলকে সতর্ক করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়া আর সেভাবে কিছু বলেননি অভিষেক আজকের বৈঠকে। এর আগের কালীঘাটের বৈঠকের দিন তিনি যেমন চুপচাপ ছিলেন, আজও তেমনটাই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে দলীয় সূত্র মারফত। তবে শুক্রবারের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দুর্নীতির বিষয়ে কোথাও কোনও প্রশ্রয় দেবে না। কোথাও কাউকে রেয়াত করা হবে না। কে, কোথায় দুর্নীতি করার চেষ্টা করছে, সেই বিষয়েও দল অবগত – এই বার্তাটাও দলের নীচু তলার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দিয়ে রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার তৃণমূল সুপ্রিমো এই দুর্নীতির বিষয়ে দলকে সতর্ক করে এসেছেন। দলের কোনও নেতা কর্মী যখন এইরকম কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তখন দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে – এমন ঘটনা অতীতেও দেখা গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর শুক্রবারের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন – দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই আপস করবে না।
শুক্রবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ফিরে পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই দায়িত্ব পুনরায় পাওয়ার আগে, দুর্নীতির ইস্যুতে দলের ভূমিকা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অর্থাৎ, তৃণমূলের নম্বর ওয়ান কিংবা নম্বর টু – উভয়েই যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একইরকম কড়া পথে হাঁটতে চলেছেন, সেই প্রচ্ছন্ন বার্তাটাই যেন দেওয়া হল শুক্রবার বিকেলে কালীঘাটের বৈঠকে।
Be the first to comment