আনিস রহস্যমৃত্য়ুতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করলো হাইকোর্ট। বুধবারের মধ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। রাজ্যের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। আনিস মৃত্যুরহস্য ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এক ছাত্রনেতা, তাঁর যেভাবে মৃত্যু হয়েছে, এই ঘটনায় যে রহস্য রয়েছে, তাতে গুরুত্ব দিতে চাইছে আদালত। এক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
অনান্য মামলার ক্ষেত্রে যে ধরনের নিয়ম মানতে হয়, স্বতঃপ্রণোদিত মামলার ক্ষেত্রে এই ধরনের নিয়ম মানতে হয় না। বিচারপতি এই ধরনের মামলা এতটাই গুরুত্ব সহকারে দেখেন, যে কোনও সময়ে যে কোনও তথ্য চাইতে পারেন। আদালতের চোখে আনিস হত্যামামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোমবার সকালে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণের কথা বলা হয়, বিচারপতি তাতেই মতামত দিয়েছেন। বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি বলেন, “আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম একটা বিষয় নিয়ে। এই ধরনের ঘটনায় আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। বিচারপতি মান্থা সব শুনে আমাকে ২টোর সময়ে আসতে বলেছিলেন। মামলার গুরুত্ব বুঝে বিচারপতি ওঁ আমাকে রিট পিটিশন অ্যাকসেপ্ট করেছেন। বিচারপতি বলেছেন, অবশ্যই এটা গ্রহণ করা উচিত। ২৪ তারিখ আবার এই মামলার শুনানি।”
আনিসের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, আমতা থানার একজন পুলিশ আধিকারিক এবং তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার এই ঘটনায় যুক্ত। এদিকে, হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পুলিশের কেউ জড়িত নন। তাহলে প্রশ্ন, পুলিশের বেশে কি তবে অন্য কেউ এসেছিল? এক ছাত্রনেতার মৃত্য়ু হয়েছে, এই বিষয়টি হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি।
সোমবার সকালেই হাওড়ার আমতায় নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। ছাত্রনেতার বাড়িতে যান ডিএসপি সুব্রত ভৌমিক। ছাত্রনেতা আনিসের বাড়িতে ডিএসপি-র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল যায়। আনিস কাণ্ডে সিট গঠন করেছে রাজ্য। মুখ্যসচিব ও ডিজির নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। নবান্নে ঘোষণা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আনিসের পরিবারকে নবান্নে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথমে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন আনিসের দাদা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের পরই আনিসের পরিবারের ‘স্ট্যান্ড পয়েন্ট’ বদলে যায়। তাঁরা জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারলে তাঁদের বাড়িতে আসুন, কারণ তাঁর বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে এদিকে ‘দিদির ওপর আস্থা রয়েছে’ বলেও স্পষ্ট করে দেন আনিসের দাদা।
Be the first to comment