পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় আগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত পঞ্চম মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে মঙ্গলবার, ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা অবৈধভাবে নিয়েছিলেন। এবার লালুকে সাজা শোনাল বিশেষ সিবিআই আদালত, লালু প্রসাদ যাদবকে ৫ বছরের সাজা এবং ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দীর্ঘদিন ধরেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় জেলবন্দি ছিলেন আরজেডি প্রধান। বেশ কিছুদিন আগে অসুস্থতার কারণে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন প্রবীণ এই নেতা। এবারও খুব সম্ভবত ‘শ্রীঘরে’ যেতে পারেন লালু প্রসাদ যাদব। লালুর আইনজীবী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যেতে পারেন লালু। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তাও খোলা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। লালুর আইনজীবীর দাবি, আরজেডি প্রধানকে ৬০ মাসের জেলের সাজা শোনানো হয়েছে কিন্তু তিনি ইতিমধ্যেই ৩৬ মাস জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন। তাই সাজা কমানোর জন্য উচ্চতর আদালতে তাঁরা আবেদন করবেন।
এর আগে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আরও চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালু। মোট ৯৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অবিযোগ রয়েছে লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে। চাইবাসা ট্রেজারি থেকে ৩৭.৭ কোটি ও ৩৩.১৩ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ, দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯.২৭ কোটি টাকা ও দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.৭৬ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দুমকা কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় লালু প্রসাদকে ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানাও দিতে হয়। এর আগে লালুকে ১৪ বছরের সাজা শোনানো হলেও আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
সাড়ে তিন বছর জেলে কাটিয়েছেন লালু প্রসাদ। ২০১৭ সালের ডিসেম্ব মাস থেকে তাঁর জেল হয়। তবে কারাবাসের বেশিরভাগ সময়টাই লালু ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি ছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে গত বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে সিবিআই ওই মামলায় ১৭০ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছিল। লালু প্রসাদ ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, পশুপালন দফতরের সচিব বেক জুলিয়াস, পশুপালন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ড. কে এম প্রসাদ ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত।
Be the first to comment