এন্টালিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ল ছাত্র পরিষদ। যার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জানা গিয়েছে, আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছিল ছাত্র পরিষদ। আচমকাই এদিন বচসা বাঁধে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে। তারপরেই হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় ঘটনাটি। এদিন ছাত্র পরিষদের সভাপতি সহ একাধিক ছাত্রকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিল। কিন্তু, পুলিশ আচমকাই হামলা চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ।
ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবারও একাধিক জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে SFI সহ একাধিক ছাত্র সংগঠন। এদিনই আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় এবং উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সাজেদা আহমেদ। ছাত্রনেতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বেরনোর সময় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।
এদিকে আনিসের রহস্যমৃত্যুতে SIT গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “অনেকেই জানেন না, আনিস আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। নির্বাচনেও সাহায্য করেছেন।” এদিন আনিসকে ‘ফেভারিট ছেলে’ বলেও অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাসও দেন। তাঁর সংযোজন, “আমিও যদি দোষী হই, নিজেকে ছেড়ে কথা বলব না।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আনিসের পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, ”সরকার আনিসের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কোনও মৃত্যুই আমাদের কাছে কাম্য নয়। আনিসের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ভালো ছিল। এই ছেলেটি আমাদের অনেক সাহায্য করেছিল। আমাদের খুব পছন্দের ছিল। আনিস আমাদের ফেবারিট ছেলে। যে চলে গিয়েছে তাঁকে তো আর ফিরিয়ে আনতে পারব না। কিন্তু, যেটা আমার হাতে রয়েছে আমি সেটা করতে পারি। আমি আশ্বস্ত করছি নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। এমনকী আমি যদি দোষী হই আমিও শাস্তি পাব। আমি এরকমই রাফ অ্যান্ড টাফ।” SIT-এর মধ্যে CID-র তদন্তকারী আধিকারিকরাও থাকবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ফরেনসিক রিপোর্ট এসেছে বলেও জানান তিনি।
Be the first to comment