এখনও আনিস–কাণ্ডে ধরা পড়েনি এক জনও। কেন? এই প্রশ্ন তুলে পথে নামলেন পড়ুয়ারা। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। দাবি একটাই, আনিস কাণ্ডে দোষীদের সাজা দিতে হবে।
এদিন আনিস–কাণ্ডে প্রতিবাদ জানিয়ে মহাকরণ পর্যন্ত অভিযানে নামে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। যদিও গন্তব্যে পৌঁছনো হয়নি। পথে পার্ক সার্কাস ক্রসিংয়ে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। পড়ুয়াদের আটকানোর জন্য প্রস্তুত হয়েছিল পুলিশ আগেই। ডোরিনা ক্রসিংয়ে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড দেওয়া হয়। যদিও তার আগে পার্ক সার্কাসেই তাঁদের আটকানো হয়।
তবে পড়ুয়ারাও নাছোড়। তাঁরা পার্ক সার্কাসেই রাস্তায় শুয়ে পড়েন। স্লোগান দিতে থাকেন। মল্লিক বাজার, মৌলালি হয়ে মহাকরণের দিকে যাওয়ার কথা এই মিছিলের। ফলে তীব্র যানজটের মুখেও পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এর পর ব্যারিকেড উঠে গেলে পড়ুয়ারা কলেজ স্ট্রিটের দিকে এগোতে থাকেন। সেখানেও পুলিশ আটকে দেয় তাঁদের। এর পর পড়ুয়ারা সেখানে বসেই স্লোগান দিতে থাকেন।
এসএন ব্যানার্জি রোডেও রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সাউথ–ইস্ট ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। প্রতিবাদের আঁচ এসে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। সেখানে এসএফআই–এর ডাকে অরবিন্দ ভবনের সামনে জড়ো হন পড়ুয়ারা। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন এবং কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বাদানুবাদও হয় বিক্ষোভকারীদের। আঁচ ছড়িয়েছে জেলাতেও। মঙ্গলবার সকালে বড়জোড়ায় বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। প্রায় ২০ মিনিট ধরে অবরোধ চলে।
আনিস খুনের ঘটনায় সিট গঠন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে আনিস খানের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে আমতা থানার তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমতা থানার ASI নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম ও হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
Be the first to comment