রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত যুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে ইউক্রেন সীমান্তে। আপাতদৃষ্টিতে সেই সংঘাত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে মনে করা হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে। বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হবে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। আর পুতিনের সেই ঘোষণার পরই রাশিয়াকে বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি সরাসরি রাশিয়াকে বলেছেন, ‘বিশ্বের কাছে রাশিয়াকে কৈফিয়ত দিতে হবে।’ এত বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর দায় রাশিয়াকে নিতে হবে বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের একাধিক দেশ সতর্ক করার পরও এই ঘোষণা করেছেন পুতিন।
ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই এক বিবৃতি দিয়েছেন জো বাইডেন। এই হামলা নায্য নয় বলে উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে ব্যাপারে আমেরিকাবাসীকে জানাতে ভাষণ দেবেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কিকে ফোনও করেছিলেন বাইডেন। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় শোনা যাচ্ছে পরপর বিস্ফোরণের শব্দ। কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে চেহারা নিয়েছে কিয়েভ, খারকিভ সহ একাধিক অঞ্চল। বৃহস্পতিবারই জি-৭ এর সদস্য দেশগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর। ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও আমেরিকা বৈঠকে বসবে। আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন বাইডেন।
দিনের পর দিন ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করার পরও রাশিয়া বারবার দাবি করেছিল, তারা যুদ্ধের পথে হাঁটবে না। তারপরই পুতিনের এই ঘোষণা সেই সংঘাতে এক নতুন ও উদ্বেগজনক মোড়। মনে করা হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, সেই বিষয়েই জি-৭ এর সদস্য দেশগুলির সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হবে।
Be the first to comment