রাজ্য কমিটি গঠনের প্রস্তুতিতে দলের সাংসদ-বিধায়কদের বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় কর্মসমিতি গড়ে দেওয়ার পর এবার রাজ্যস্তরে সমস্ত সংগঠনের খোলনলচে বদলে সর্বস্তরে নতুন কমিটি করে দেওয়ার পালা। সেই সূত্রেই বিধানসভা ও সংসদে দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বসবেন তৃণমূলনেত্রী। থাকবেন দলের সমস্ত সংগঠনের পদাধিকারীরাও। ৩ মার্চ লখনউয়ে দু’দিনের সফর সেরে ফিরলেই সভার তোড়জোর শুরু হবে। রাজ্য বাজেট অধিবেশন বসছে ৭ মার্চ। সম্ভবত তার পরের দিন অর্থাৎ, ৮ মার্চ নজরুল মঞ্চে সেই সভা হতে পারে। তার পরই দলের সমস্ত কমিটি চূড়ান্ত করে একে একে নতুন পদাধিকারীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি দলের জাতীয় কর্মসমিতির নির্বাচন হয় নেতাজি ইন্ডোরে। সর্বসম্মতভাবে দলের সভানেত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে কালীঘাটে নিজের কার্যালয়ে দফায় দফায় বৈঠক ডেকে পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন ২০ জনের জাতীয় কমিটি গড়ে পদাধিকারীদের দায়িত্ব দিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রী। রাজ্য কমিটিও যে তার পরপরই গঠন হতে চলেছে তারও খবর মেলে সূত্রে। তার আগেই এক দফা দলের রাজ্যস্তরের পদাধিকারী, সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে নিতে চান মমতা।
নতুন কমিটিতে কার কী দায়িত্ব হতে পারে তা চূড়ান্ত করতে নজরুল মঞ্চের সভার আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও সেরে নিতে পারেন মমতা। দল ভিনরাজ্যে বিস্তার লাভ করেছে। জাতীয় স্তরে পা রেখেছে। কিন্তু বাংলার দল হিসাবে বাংলায় যাতে সংগঠনের ভিত আরও মজবুত করার কথা বলে দিয়েছেন। ফলে সংগঠনের গুরু দায়িত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি মাথায় রাখা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শাসক শিবিরের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “রাজ্যস্তরের সংগঠনে নতুন কমিটি গড়ার কাজ চলছে। বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে বৈঠক ডেকে তারই প্রস্তুতি শুরু করবেন নেত্রী। দলের পদাধিকারীদের প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগর ও শিলিগুড়ি এই চার পুরনিগমের মেয়র পারিষদ ও বরো চেয়ারম্যান কারা হবেন তার খসড়া তালিকাও জমা পড়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। শনিবার তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সেরেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতে কিছু অদলবদল করে খসড়া তালিকা পাঠানো হচ্ছে মমতার কাছে। তাঁর সিলমোহর পড়লেই স্থানীয় স্তরে চূড়ান্ত তালিকা পাঠিয়ে দেবে তৃণমূল নেতৃত্ব।
Be the first to comment