কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া রবিবারের পুরভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করলো তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার ভোটে বিরোধীদের তোলা যাবতীয় হিংসার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় ১১ হাজার বুথের মধ্যে খুব বেশি হলে গোটা ১৫ বুথে গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। এইসব গোলমালের দায়ও পার্থ বিরোধী দল এবং মিডিয়ার একাংশের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন।
তৃণমূল মহাসচিব বলেন বিভিন্ন বুথে যেভাবে ইভিএম ভাঙা হয়েছে তা বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পূর্বপরিকল্পনামাফিক হয়েছে। এর পিছনে কারা ছিল, সংবাদমাধ্যমকে তা খুঁজে দেখতে পরামর্শ দেন পার্থ। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা এ রাজ্যের মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওরা জানে, মানুষ ওদের সমর্থন করে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ওপরেই মানুষের আস্থা আছে। তাই ছলে বলে কৌশলে ওঁরা গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বানচাল কোর্ট ছেয়েছিল।কিন্তু মানুষ সেই চক্রান্ত ফাঁস করে দিয়ে দলে দলে ভোট দিয়েছে।
শাসকদলের মহাসচিব এদিন সংবাদমাধ্যমের একাংশেরও তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, প্রথম সারির কয়েকটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এদিন প্ররোচনা সৃষ্টি করেছে। রাজ্য তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তারা নেতিবাচক প্রচারে নেমেছে।পার্থ জানান, বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীসহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের গোচরে রয়েছে। দল নিশ্চয়ই সব কিছু ভেবে দেখবে।
পাশাপাশি এদিন বনধের বিরোধিতা করে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ঠান্ডা ঘরে বসে বিজেপি-র ডাকা বন্ধের আমরা বিরোধিতা করছি। আগামীকাল সব কিছু সচল থাকবে। সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে, এমন কোনও কিছুকে সমর্থন করি না আমরা। মানুষকে বিপদে ফেলে অর্থনীতি ধ্বংস করার এই বন্ধের আমরা সম্পূর্ণ বিরোধিতা করি।
তিনি আরও বলেন, যারা ভোটে কিছু করতে পারে না, তারাই এ ভাবে অশান্তি আর গোলমাল পাকাতে বনধ ডাকে। রাজ্য প্রশাসন সম্পূর্ণ ভাবে সচল থাকবে। গোলমাল করতে গেলে প্রশাসন কড়া হাতে তার মোকাবিলা করবে।
Be the first to comment