সপ্তাহের শুরুতেই ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দেয় বিজেপি। পুরভোটে লাগাতার অশান্তির অভিযোগ তুলে এই বনধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অশান্তির খবর উঠে এসেছে। সোমবার বনধের সমর্থনে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ মিছিল বের করেন। আর সেই মিছিল ঘিরেই উত্তেজনা ছড়ায়। মিছিল আটকাতে বৌবাজারে বাজারে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সজল ঘোষকে।
আজ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে সজল ঘোষের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। হাতে পদ্ম-পতাকা, মুখে স্লোগান দিতে-দিতে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। এরপরই পুলিশ মিছিল আটকালে গণ্ডগোল বাধে। তৈরি হয় উত্তেজনা। সূত্রের খবর, মিছিল শুরু হতেই গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।
সূত্রের খবর, বিজেপির ওই মিছিলটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে বৌবাজার পৌঁছায়। এরপর শুরু হয় বক্তৃতা। কয়েক মিনিট বক্তৃতা দেওয়ার পরই মাঝ রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় কোনও ভাবেই বৈধ নয়, মিছিলটি সম্পূর্ণ অবৈধ। সেক্ষেত্রে মিছিল এগিয়ে নেওয়া যাবে না। অবস্থান বিক্ষোভের কোথাও কোনও অনুমতি নেই। তাই পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
যদিও, বিজেপি নেতা তথা কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলছেন, তাদেরকে এইভাবে থামিয়ে দেওয়া যাবে না। সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া নেত্রী প্রশ্ন করেছেন, গতকাল যখন ভোট লুঠ হয়েছে, অশান্তি হয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে তখন পুলিশ কোথায় ছিল? মুখ্যমন্ত্রী স্থির করেছেন কাউকেই কোনও ভাবে কোথাও আন্দোলন করতে দেওয়া যাবে না। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ বাহিনী। সজল ঘোষ সহ প্রায় জনা পনেরো বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারের উদ্দেশে।
বস্তুত, পুরভোটে দেদার ছাপ্পা, সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকে বিজেপি। সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। দলের তরফে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বনধের ঘোষণা করে বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক দল নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই বনধের সমর্থনে এগিয়ে আসুক। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে গেলে এইভাবে চলতে পারে না। বাংলাকে রক্ষার তাগিদেই সকলকে বনধে শামিল হতে হবে।’
Be the first to comment