পাঁচ রাজ্যের ফল ঘোষণার পর বিধায়ক কিনতে পারে বিজেপি, আগেভাগে ‘স্ট্র্যাটেজি’ তৈরি কংগ্রেসের

Spread the love

আগামী ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। ২০১৭ সালে এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিনটিতে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছিল কংগ্রেস। কিন্তু সরকার গড়তে পেরেছিল শুধু পাঞ্জাবে। একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও নেতৃত্বের ব্যর্থতায় গোয়া এবং মণিপুরে সরকার গড়ে উঠতে পারেনি হাত শিবির। এবারে সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি রুখতে মরিয়া কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ফলপ্রকাশের পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ফেলেছে হাত শিবির।

সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে পাঁচ রাজ্যের ফলাফল নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কে সি বেণুগোপাল-সহ শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস শাসিত দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। সেখানেই ঠিক হয়ে গিয়েছে, ভোটের ফল প্রকাশের পর কংগ্রেসের জয়ী বিধায়কদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে। কংগ্রেস সবচেয়ে বেশি চিন্তিত গোয়া এবং মণিপুর নিয়ে। কারণ, এই দুই রাজ্যেই হাত শিবির আগেরবার সরকার গড়ার খুব কাছাকাছি গিয়েও ক্ষমতা হাতছাড়া করেছে। তাছাড়া, এই রাজ্যগুলিতে বিধায়ক কেনাবেচার প্রবণতাও বেশি।

শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস ঠিক করে ফেলেছে মণিপুরের জয়ী বিধায়কদের ফলাফলের দিনই ছত্তিশগড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কংগ্রেসের ধারণা মণিপুরে এবারে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সেক্ষেত্রে ভোটের পর কনরাড সাংমার এনপিপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়া যেতে পারে। গোয়াতেও একক বৃহত্তম দল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হাত শিবির। কিন্তু সেখানেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত নন তাঁরা। গোয়ায় আগেরবারের অভিজ্ঞতা মোটেই ভাল নয়। তাই গোয়ার বিধায়কদের আরও ‘নিরাপদ’ রাজস্থানে সরানো হতে পারে।

উত্তরাখণ্ডের ফলাফল যদি টানটান হয়, তাহলে উত্তরাখণ্ডের ক্ষেত্রেও বিধায়কদের সরানো হতে পারে রাজস্থানে। পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত ফলাফলের পরে নেওয়া হবে। পাঞ্জাবে কংগ্রেসই ছিল শাসক। সেরাজ্যে বিজেপি লড়াইয়ে নেই, তাই বিধায়ক কেনাবেচার সম্ভাবনা কম। আবার উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস বেশি আসনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নয়। তবু, যদি সেরাজ্যে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে উত্তরপ্রদেশের যে ক’জন জিতবেন তাদেরও আনা হতে পারে ছত্তিশগড়ে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*