কেন্দ্রের টাকায় তৈরি প্রকল্পের কৃতিত্ব নিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই চিঠি পাঠানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুভেন্দুকে ফোন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। শুভেন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেই জানিয়েছেন তিনি। এমনকি রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ নিয়েও ভাবনা- চিন্তা করতে পারে সরকার। বুধবারই ওই চিঠি পাঠিয়েছিলেন শুভেন্দু। আর বৃহস্পতিবার তাঁকে ফোন করেন শেখাওয়াত। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, ‘জল স্বপ্ন’ নামে যে প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটা আদতে কেন্দ্রে ‘জল জীবন মিশন।’
শুভেন্দু চিঠি পাঠানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। সূত্রের খবর, এই অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের অর্থ ব্যবহার করে এ ভাবে রাজ্যের প্রকল্প হিসেবে চালিয়ে ‘কৃতিত্ব’ নেওয়া হলে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে ভাবতে পারে কেন্দ্র। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে জল শক্তি মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘জল স্বপ্ন’ আসলে রাজ্যের টাকায় তৈরি কোনও প্রকল্প নয়। বিজেপি বিধায়ক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকাতেই ওই প্রকল্প চলে, যার আসল নাম ‘জল জীবন মিশন।’ অথচ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রকল্প নিজের বলে দাবি করেছেন। আর সেই অভিযোগ জানিয়েই মোদীকে গত বুধবার চিঠি লেখেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে জল জীবন মিশন প্রকল্পের জন্য, মোদীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত নিজে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে সাহায্য়ের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন ওই প্রকল্পে রাজ্যের জন্য ৬ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। অথচ রাজ্য দাবি করছে, টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
টুইটে শুভেন্দু লিখেছিলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি, অবিলম্বে এই ভাওতামি রুখতে। এরপরেও যদি লোক ঠকানো নাম বদলে “জল জীবন মিশন” না করা হয় তবে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, এমন উদাহরণ এটাই প্রথম নয়, ‘পিএম আবাস যোজনা’র নাম রাজ্য সরকার বদলে করেছে ‘বাংলার আবাস যোজনা’, ‘পিএম গ্রাম সড়ক যোজনা’র নামও বদলে হয়েছে ‘বাংলা গ্রাম সড়ক যোজনা’।
Be the first to comment