২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনগুলির জন্য নতুন ভোটকুশলীর সঙ্গে চুক্তি কংগ্রেসের

Spread the love

প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আলোচনা বহুদূর এগিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত কোনও কারণে সেই চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। দীর্ঘদিন আলোচনার পরও পিকে কংগ্রেসে যোগদান করেননি। আবার কংগ্রেসের পরামর্শদাতা হিসাবেও কাজ করেননি। অগত্যা পিকের বিকল্প হিসাবে তাঁরই একসময়ের সহযোগীকে নিয়োগ করল কংগ্রেস। ২০২৩ সালে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সুনীল কানুগলুকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করল কংগ্রেস।

সুনীল দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ছিলেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির হয়ে পিকে যখন কাজ করছেন, তখন তাঁর সহযোগী ছিলেন সুনীল। পরে ডিএমকে, এআইএডিএমকে এবং অকালি দলের হয়েও কাজ করেছেন তিনি। সদ্য পাঞ্জাব নির্বাচনে অকালিদের হয়ে কাজ করেছেন সুনীল। পাঞ্জাবে অকালিরা কংগ্রেসকে জোর টক্কর দিয়েছে। সেখানেই সুনীলের কাজ পছন্দ হয়েছে কংগ্রেসের।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সুনীলের সঙ্গে গোপনে একটি বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। সেই বৈঠকে ছিলেন খোদ রাহুল গান্ধীও। তারপরই তাঁকে কর্ণাটকের প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয় সুনীলকে। আগামী বছর কর্ণাটকের নির্বাচন। সুনীল আবার নিজেও কর্ণাটকের বাসিন্দা। সেরাজ্যের রাজনীতি ভালই বোঝেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, কর্ণাটকে সাফল্য পেলে আগামী বছর অন্য রাজ্যগুলিতেও দলের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজে লাগানো হতে পারে তাঁকে।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সুনীলকে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়ার অর্থ প্রশান্ত কিশোরের জন্য কংগ্রেসের রাস্তা সরকারিভাবে বন্ধ হয়ে গেল। প্রশান্ত অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরও শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা ছিল, উত্তরপ্রদেশ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের পরই ফের প্রশান্তের সঙ্গে কথা শুরু করতে পারেন রাহুল গান্ধীরা। কিন্তু সুনীলের নিযুক্তির পর কংগ্রেস নেতৃত্ব আর পিকে’র জন্য অপেক্ষা করেন কিনা সেটাই দেখার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*