রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ একাদশ দিনে পড়ল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ হামলার মুখেই ইউক্রেনে আটকে পড়েছিলেন ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক। সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা করার আগে থেকেই ইউক্রেনে থাকা ভারতীদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ভারত সরকার। ইউক্রেনে থাকা ভারতের দূতাবাসের তরফেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। হামলা চালানোর পর থেকেই ভারত নাগরিকদের দেশে ফেরাতে তৎপর হয়েছে। দফায় দফায় ভারতের বায়ুসেনার বিমান সি-১৭ করে ইউক্রেনে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই উদ্ধার অভিযানের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন গঙ্গা’। আর আজ ‘অপারেশন গঙ্গা’-র অধীনে শেষ দফার উদ্ধার অভিযান হবে।
ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস রবিবার অপারেশন গঙ্গার ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের শেষ দফায় দেশে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে। ইউক্রেনে থাকা ভারতীয়দের হাঙ্গারির রাজধানী বুদাপেস্টের হাঙ্গারিয়া সিটি সেন্টারে সকাল দশটা থেকে দুপুরের মধ্যে পৌঁছতে বলা হয়েছে। দেশে ফিরে আসার জন্য ভারতীয়দের একটি গুগল ফর্মে ফিল আপ করার কথা বলা হয়েছে। ইউক্রেনের দূতাবাসের তরফে একটি টুইট করে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।ইউক্রেনে ভারতের দূতাবাসের তরফে টুইটে বলা হয়েছে, “ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে এইখানে দেওয়া গুগল ফর্মে নিজেদের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। সুরক্ষিত থাকুন, শক্ত থাকুন।” জরুরি ভিত্তিতে এই গুগল ফর্ম ফিল আপের কথা বলা হয়েছে ইউক্রেনের দূতাবাসের তরফে। ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের এই গুগল ফর্মে ইমেইল আইডি, পুরো নাম, বয়স, লিঙ্গ, পাসপোর্ট নম্বর, ইউক্রেনে ঠিকানা, ইউক্রেনের যোগাযোগের নম্বর এবং ভারতে যোগাযোগের নম্বর দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত বহু ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও এখনও কয়েকশো ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সংঘাত অঞ্চলে আটকে রয়েছে। শুক্রবার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য় এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ‘অপারেশন গঙ্গার’ অধীনে ৬৩ টি বিমানে করে এখনও অবধি ১৩,৩০০ জন ভারতীয় নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে শনিবার বলা হয়েছে যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ টি বিমান অবতরণ করেছে। মোট ২,৯০০ জন ভারতীয় ফিরেছে সেই বিমানগুলি করে।
Be the first to comment