কুলপিতে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার। সোমবার বিজেপির এক বৈঠকে যোগ দিতে কুলপি যাচ্ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শ্রীনগর মোড়ের কাছে তাঁর গাড়ি আটকে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা ছাড়াও ছিল কালো পতাকা। ঘনঘন ‘গো ব্যাক সুকান্ত’ স্লোগান ওঠে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বিক্ষোভ চলে শ্রীনগর মোড়ে। আটকে থাকে সুকান্তর কনভয়। বিক্ষোভকারীদের ঘেরাটোপ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি বার করতে হিমশিম খায় পুলিস।
তৃণমূলের বিক্ষোভের পাল্টা জবাব দেয় বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারকে হেনস্থা করার অভিযোগে রামকৃষ্ণপুর এলাকায় পথ অবরোধে বসেন বিজেপি কর্মী ও সমর্থেকেরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁরাও স্লোগান তোলেন। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তাঁদের। শেষ পর্যন্ত বিশাল পুলিসবাহিনী গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
এদিন সুকান্তর গাড়ির আগে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল বাইক বাহিনী। আচমকাই তাদের আটকে দেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বাইক বাহিনীর পিছনেই ছিল সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। কালো পতাকা হাতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা এগিয়ে যান সুকান্তর গাড়ির একেবারে সামনে। চলে নানা স্লোগান। সুকান্ত অবশ্য গাড়ির মধ্যে চুপচাপই বসে ছিলেন। ঘন্টাখানেক চলে তৃণমূলের বিক্ষোভ। পরে পুলিস কোনওরকমে বিজেপি নেতার কনভয় বার করে দেয়।
এরপরই আসরে নামে বিজেপি। দলের কর্মী সমর্থকরা হাতে পতাকা নিয়ে সুকান্তর হেনস্থার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিসের সঙ্গে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তাও চলে বেশ কিছুক্ষণ। পরে অবশ্য পুলিস জোর করে অবরোধ তুলে দেয়। বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভের জেরে কুলপিতে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়।
Be the first to comment