তৃণমূলে যোগ দিয়েই পদপ্রাপ্তি জয়প্রকাশ মজুমদারের

Spread the love

জল্পনার অবসান। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার যোগ দিলেন তৃণমূলে। নাটকীয়ভাবে নজরুল মঞ্চে বৈঠক করল তৃণমূল। সেখানেই জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি হলেন  জয়প্রকাশ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।  উল্লেখ্য, সোমবারই লকেট চট্টোপাধ্যায় দেখা করেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু ও রিতেশ তিওয়ারিও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠকেই শেষ পেরেকটা পোঁতা হয়েছিল। সোমবার সকালে আকস্মিক নজরুল মঞ্চের সামনে তৃণমূল নেতাদের পাশেই দেখা যায় জয়প্রকাশকে। আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে তাঁর উপস্থিতিই ঘটাল জল্পনার অবসান।

শুরুটা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। সায়ন্তন বসুকে যখন সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন জয়প্রকাশ। এরপর একাধিকবার তিনি নানাভাবে দলকে বুঝিয়েছেন তাঁর বিরোধিতার কথা। কখনও সোজাসাপটা দলের নীতির বিরুদ্ধে টুইট করে, কখনও রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাতের ইস্যুতে রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করে, কখনও আবার দলেরই বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে চড়ুইভাতিতে অংশ নিয়ে।

মাস দেড়েক আগেই জয়প্রকাশ মজুমদারকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি তৃণমূলে যাচ্ছেন?’ সে সময় জয়প্রকাশ বলেছিলেন, “দলের নীতি কিছুক্ষেত্রে ঠিক মনে হচ্ছে না। দলের নীতির বিরুদ্ধে মানেই দল ছাড়া নয়।” তবে জল্পনা সত্যি করেই দেড় মাসের মধ্যে বসন্তে ফুল বদল করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার।

আর এই অধ্যায়ের তাঁর শেষ সংযোজন হয় কলকাতা পুরভোটে ফল ঘোষণার পর দলের বিরুদ্ধে তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্যে। তিনি বলেছিলেন, “শুভেন্দুকে দেখলে মায়া হয়। ঘরে-বাইরে লড়াই চালাচ্ছে। তাঁকে সরানোর জন্য বিজেপি অফিসে নতুন করে পরিকল্পনা হচ্ছে। ” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিষয়টি কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়।

তবে একটা কথা উল্লেখ্য। আজ জয়প্রকাশের দলবদলের হ্যাট্রিক হল। ২০১৪ সালে গোটা দেশে যখন বিজেপির রাজনৈতিক উত্থান শিখরে, তখন কংগ্রেস ছেড়ে পদ্মে এসেছিলেন জয়প্রকাশ। বাংলায় কংগ্রেস তখন ধুঁকছে। এবার তাঁর ফুলবদল! বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের সঙ্গে ছেলেকে এনেও জয়প্রকাশ বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর পরিবারও আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*