সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট শেষ হয়েছে। সোমবার, উত্তর প্রদেশে ছিল সপ্তম দফার নির্বাচন। ভোট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম গুলি তাদের বুথফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। বেশিরভাগ সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশের সবথেকে ছোট রাজ্য গোয়াতে, কংগ্রেস- বিজেপি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনেক সমীক্ষাতেই অন্যান্য বেশকিছু রাজনৈতিক দলের জেতার সম্ভাবনা প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এবার গোয়াতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় এই ইঙ্গিত আসার পরই মঙ্গলবার রাতে গোয়া উড়ে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের এই গোয়া সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আগামী ১০ মার্চ, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে। সূত্রের খবর, ফল ঘোষণার দিন অবধি গোয়াতেই থাকবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যে এই সৈকত রাজ্য পা রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম থেকেই গোয়াতে তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্ব শীর্ষ স্তর থেকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন অভিষেক। এমনকি মমতাও একাধিকবার দলীয় কর্মসূচিতে গোয়া ঘুরে গিয়েছেন।
দলের তরফে গোয়ার দায়িত্বে থাকা সাংসদ মহুয়া মৈত্র ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আসার আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু তখন গোয়ার সবথেকে বড় বিরোধীদল কংগ্রেস তৃণমূলের ডাকে সাড়া দেয়নি। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে গোয়ার ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা দীনেশ গুন্ডরাও বিজেপি বিরোধী সব দলকে ‘স্বাগত’ জানিয়েছেন। বুথ ফেরত সমীক্ষায় যে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, তাতে কংগ্রেস বিজেপি থেকে সামান্য এগিয়ে থাকলেও, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সমীক্ষায় অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে বেশ কিছু আসন পেতে দেখা গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, এই অন্যান্য বিরোধী দল গুলির মধ্যে তৃণমূল রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, গোয়া নির্বাচনে খাতা খুলতে পারে তৃণমূল। সেই আবহে অভিষেকের গোয়া সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment