নন্দীগ্রামে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলেছিল! বুধবার বিধানসভা দাঁড়িয়ে এমন অভিযোগ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এহেন অভিযোগে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। আরও অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
এদিন মমতা আরও বলেন, “নন্দীগ্রামে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি পর্যন্ত চালানো হয়েছিল।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, “নন্দীগ্রামে আন্ডারস্ট্যান্ডিং (সমঝোতা) করেছিল। আমাকে বাইকে করে সেখানে যেতে হয়েছিল। আন্দোলন করা আমাকে শেখাবেন না।” তিনি আরও সংযোজন করেন, “যারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তাঁদের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
এদিন বিধানসভায় বিজেপিকে ‘কর্মনাশা’ বলে আক্রমণ করেন মমতা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ আনেন। দিল্লির অসহযোগিতা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কীভাবে উন্নয়ন যজ্ঞ চালাচ্ছে, তাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “কেন্দ্র থেকে কোনও সাহায্য পায়নি। আগের কংগ্রেস সরকারও সাহায্য করেনি। এখন বিজেপি সরকারও করছে না। আমফানের টাকা পর্যন্ত দেয়নি। দেশটাকে সর্বনাশ করে দিচ্ছে এই সরকার। ওদের লজ্জা নেই।” মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। তবে গেরুয়া শিবিরের প্রতি আক্রমণের ঝাঁজ কমাননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বড় বড় কথা বলে দেশ চলবে না। বিজেপির বিশ্রাম নেওয়ার দিন আসছে।”
এদিন ফের উত্তপ্ত হয়েছিল বিধানসভা অধিবেশন। মুখ্যমন্ত্রী যখন বক্তব্য রাখতে শুরু করেন সেই সময় বিজেপি বিধায়করা ‘জয় শ্রীরাম’, ‘মোদি মোদি’ স্লােগান দিতে শুরু করেন। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রাজ্যপালের জবাবি ভাষণে বাধা দেন বিজেপির বিধায়করা। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ শুরু করতে গেলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভায়।
Be the first to comment