গোপন বৈঠকের পরেও জয়প্রকাশ দল ছাড়ায় লকেটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, কী বললেন সাংসদ?

Spread the love

গোপন বৈঠকের পরদিনই জয়প্রকাশ মজুমদারের দল ছাড়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রশ্নও উঠছে, ভবানীপুরের নির্বাচনের সময় থেকে শেষ ১০৮টি পুরসভার ভোট। কোথায় ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়? গত বিধানসভায় হুগলিতে সব আসনে হেরেছে বিজেপি। সাংসদ হিসাবে তাহলে তিনি ব্যর্থ, এমনটাও বলছেন কেউ কেউ। যদিও জয়প্রকাশের দল ছাড়ার তীব্র নিন্দা করেছেন লকেট।

সোমবার সল্টলেকে দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন হুগলির সাংসদ। সেই বৈঠকে দুই রাজ্যনেতা সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন দলের সাসপেন্ড হওয়া দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিও। সেই বৈঠককে ভালভাবে নেয়নি সুকান্ত-অমিতাভ শিবির। তার উপর বৈঠকের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই নজরুল মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন জয়প্রকাশ। প্রথমে বৈঠক ও তারপর জয়প্রকাশের দলছাড়া, সবটাই অবশ্য বিজেপির শাসকগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে এনেছেন বলে খবর। লকেট অবশ্য কৌশলে জয়প্রকাশকে আক্রমণই করেছেন। জয়প্রকাশের দল ছাড়ার নিন্দা করে তিনি বলেন, “উনি ব্যক্তিগত সমীকরণে দল ছেড়েছেন। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির কথা ভেবে দল ছেড়েছেন। এরকম লোকেদের দলে না থাকাটাই ভাল।”

জয়প্রকাশের সমালোচনা করেও লকেট অবশ্য এদিন দলের শীর্ষনেতৃত্বকে ফের বার্তাও দিয়েছেন। বলেছেন, দলে যাঁদেরকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের কথা শুনতে হবে। না হলে দল ছাড়ার প্রবণতা বাড়বে। লকেট চট্টোপাধ্যায় যখন বিক্ষুব্ধ শিবিরকে সমর্থন করে রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তখন অবশ্য বসে নেই দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে অমিতাভ চক্রবর্তীরা। লকেট বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতাদের উদ্দেশে ‘আত্মবিশ্লেষণ’-এর পরামর্শ দিয়েছেন। তখন পাল্টা লকেটের বিরুদ্ধেও একাধিক বিষয়কে সামনে এনে দলের মধ্যে এককাট্টা দিলীপ-সুকান্ত-অমিতাভরা। তাঁরা ঘনিষ্ঠ মহলে এই প্রশ্নও তুলেছেন, ভবানীপুরের নির্বাচনের সময় থেকে শেষ ১০৮টি পুরসভার ভোট। কোথায় ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়? গত বিধানসভায় হুগলিতে সব আসনে হেরেছে বিজেপি। সাংসদ হিসাবে তাহলে তো তিনি ব্যর্থ।

আবার হুগলি জেলা পার্টির যে কমিটি হয়েছে তা নিয়ে লকেট ক্ষুব্ধ বলে খবর। সে প্রসঙ্গে অমিতাভ শিবিরের বক্তব্য, হুগলিতে দলকে লকেট ডুবিয়েছেন। যাঁরা লড়েছেন তাঁরা এবার কাজ করুক। দলীয় সূত্রে খবর, আসানসোলে বিজেপির একটি কর্মসূচিতে লকেটকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মঙ্গলবার দলের সেই কর্মসূচিটি বাতিল করে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ফলে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এসেছে। লকেটের গোপন বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জয়প্রকাশের কী কথা হয়েছে জানি না। কথা বলার পরই চলে গেলেন।” যদিও লকেটের দাবি, “ওঁকে(জয়প্রকাশ)বোঝানো হয়েছিল দল না ছাড়ার জন্য।” এদিকে, জয়প্রকাশের দল ছাড়ার পরই রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, “উনি আমাদের দল থেকে বহিষ্কৃতই ছিলেন। বহিষ্কারের পর উনি কোন দলে যোগ দেবেন সেটা ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর এই দলবদল ওঁর জীবনে প্রথম নয়।” কিন্তু দলে ভাঙন থামাতে কী করণীয়? সুকান্তর জবাব, এটা ভাঙন নয়। শৃঙ্খলাহীন সৈনিকের প্রয়োজন নেই।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*