কয়লা কাণ্ডে অভিষেক-রুজিরার আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

Spread the love

 কয়লা কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার আবেদন, শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। কয়লা কেলেঙ্কারিতে আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরাকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকরা। কিন্তু শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রজনীশ ভাটনগর।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীর হয়ে সওয়াল করছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। অন্যদিকে ইডির পক্ষে হাইকোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি অভিষেক ও রুজিরার আবেদনের বিরোধিতা করেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। সেই তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা উভয়েই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা কিন্তু তাঁদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে ইডির দিল্লির অফিসে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রুজিরার বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরূপের মামলায় যে অভিযোগ এনেছে, সেটিও চ্যালে়ঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের স্ত্রী। শুক্রবার সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায় আদালতে।

ইডির হয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, ইডির তদন্তের এক্তিয়ার “একটি এলাকা, থানা বা রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়”। কারণ, আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় যে অপরাধগুলি পড়ে, সেগুলিতে প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল পাল্টা যুক্তি দেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এমন কোনও আইনের বিধান দেখাতে পারেনি যাতে আবেদনকারীদের রাজধানীতে তলব করার নির্দিষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়। তাঁর যুক্তি, আর্থিক তছরূপের মামলার ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের দিল্লিতে তলব করার ক্ষমতা ইডি-র নেই। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, আর্থিক তছরূপ আইনের আওতায় কোনও তদন্ত হওয়া উচিত নয়, এমনটা তিনি বলছেন না। তবে তদন্তকারী সংস্থাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় আসা উচিত বলে হাইকোর্টে জানান তিনি।

আদালতে ইডির পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু এবং আইনজীবী অমিত মহাজনও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা যুক্তি দেন,মামলাটি ইডি-র হেডকোয়ার্টার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটে তদন্ত করা হচ্ছে এবং তাদের একটি সর্বভারতীয় এক্তিয়ার রয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আবেদনকারীদের এই দাবিতেও আপত্তি জানান যে তাঁরা কলকাতার বাসিন্দা। তাঁর বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাংসদ এবং সংসদের অধিবেশন চলাকালীন অবশ্যই এখানে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে দিল্লির একটি ঠিকানাও নিশ্চয়ই রয়েছে তাঁর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*