ট্যাংরার মেহের আলি লেনে অগ্নিকাণ্ড। চামড়ার গুদামে ভয়াবহ আগুন। দুর্ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চামড়ার গুদামে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বিধ্বংসী আগুন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ চামড়ার গুদামটিতে আগুন লাগে। আগুন লাগার কিছু সময়ের মধ্যে সংলগ্ন ঘন বসতিপূর্ণ বস্তি এলাকা ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আগুনের ধোঁয়ায় এলাকার বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অনেক মানুষকে এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে বিপদ টের পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বেশ উদ্বিগ্ন। তাঁকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি দেখতে যান উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অগ্নিকাণ্ড যে অন্যান্য ঘটনার চেয়ে ভয়াবহ, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। অগ্নিনির্বাপণের কাজ কীভাবে চলছে, পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, বিপদের আশঙ্কাই বা কতটা – সেসব খোঁজখবর তিনি নিয়েছেন বলে জানান সুজিত বসু। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তিনি নিজে সর্বক্ষণ কাজের দিকে নজর রাখছেন।
ট্যাংরার এই চামড়ার গুদামে আগুন কীভাবে লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে আগুনের যে বিধ্বংসী রূপ – তাতে এলাকাবাসীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আগুন নেভানোর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
যেহেতু চামড়ার গুদাম এলাকাটি বেশ ঘিঞ্জি এবং ঘন বসতিপূর্ণ, তাই আগুন আশেপাশের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে, আশেপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন লাগার খবর পাওয়ামাত্র আতঙ্কিত হয়ে বহু স্থানীয় মানুষে বাইরে বেরিয়ে এসে জড়ো হয়েছেন।
Be the first to comment