ক্রমেই অন্ধকারে ডুবছে দেশের সবচেয়ে পুরনো দল। সেই ২০১৪ সাল থেকে যেভাবে একের পর এক নির্বাচনে কংগ্রেস ধরাশায়ী হচ্ছে, সেই ধারা বজায় থেকেছে ২০২২ সালের পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনেও। উঠেছে দলীয় সংগঠনের খোলনলচে বদলানোর দাবি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, তাঁর ছেলে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া-কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, যিনি উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে দলের প্রধান মুখ ছিলেন সকলেই দলের সব দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন রবিবার। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
আগামীকাল, রবিবার বিকেল চারটেয় কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকেই তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন গান্ধী পরিবার। এমনটাই গুঞ্জন। দলে পূর্ণ সময়ের সভাপতি নিয়োগ ও সংগঠনের পরিবর্তন চেয়ে বছর দুয়েক আগে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন কংগ্রেসের ২৩ নেতা। এরপর থেকেই তাঁদের গায়ে লেগে যায় ‘জি-২৩’ ছাপ। সেই বিক্ষুব্ধ নেতারা এবার দাবি তুলেছেন, দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বের আমূল বদল দরকার। এই পরিস্থিতিতে গান্ধী পরিবারের সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাই জোরাল, দাবি ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
উল্লেখ্য, এই প্রথম এমন দাবি শোনা গেল তা নয়। এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরও দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সোনিয়া-রাহুল। কিন্তু কমিটি রাজি না হওয়ায় তাঁরা কমিটি ছাড়েননি। এবারও দলের ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাঁরা সরে যেতে চান বলেই খবর। তবে শেষ পর্যন্ত এবারও কমিটি তা খারিজ করে দেয় কিনা সেটাই দেখার।
গত কয়েক বছর ধরেই কংগ্রেসের অবস্থার ক্রমাবনতি হয়েছে। এবার যে পাঁচ রাজ্যে ভোট হয়েছিল তার মধ্যে কংগ্রেস একটিতে ক্ষমতায় ছিল, ২টিতে ২০১৭ সালে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছিল এবং একটিতে দলের অন্যতম সেরা মুখ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আঁকড়ে ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে যে রাজ্যটিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, সেই পাঞ্জাবেও কার্যত নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে হাত শিবির। ইতিহাসে প্রথমবার কংগ্রেসের ভোট নেমে আসছে ২৫ শতাংশের নিচে। এমন পরিস্থিতিতেই রবিবারের বৈঠক। আপাতত সেই দিকেই চোখ ওয়াকিবহাল মহলের।
Be the first to comment