ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইপিএফ-এর সুদ কমা নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার টুইট করে এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটে লেখেন, ”ভোটের পরই উপহার নিয়ে চলে এসেছে বিজেপি। কর্মচারিদের প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে সুদ কমানোর সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের মুখোশ খুলে গিয়েছে। মহামারী কবলিত দেশে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে এই সিদ্ধান্ত বড় ধাক্কা।”
একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, ”কেন্দ্রীয় সরকারের এই জনবিরোধী, শ্রমিকবিরোধী পদক্ষেপ জনগণের থেকে তাদের আরও বিচ্ছিন্ন করে তুলছে। কৃষক, শ্রমিক, মধ্যবিত্তদের বদলে এ দেশের সরকার যে কেবল পুঁজিপতিদের স্বার্থসিদ্ধি ঘটায়, সেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসছে। এর জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের প্রয়োজন। ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদই সরকারের এই কালা পদক্ষেপকে নস্যাৎ করতে পারবে।”
ইপিএফ ইন্টারেস্ট রেট কমেছে ০.৪ শতাংশ। যার ফলে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য EPF-এর সুদের হার কমে দাঁড়াল ৮.১ শতাংশে।গত চার দশক অর্থাৎ ৪০ বছরের মধ্যে এই ৮.১ শতাংশ হারে সুদের হার সর্বনিম্ন। এর ফলে প্রায় ৬০ মিলিয়ন চাকুরিজীবী বা ৬ কোটি চাকুরিজীবীর পকেটে কোপ পড়ছে। একদিকে যখন বাজারে জিনিসপত্রের আগুন দাম। তার মধ্যে এই ধাক্কা সমস্যায় ফেলবে ইপিএফও সদস্যদের। ১৯৭৭-৭৮ সালে EPFO-তে সুদের হার ছিল ৮.০ শতাংশ। তারপর থেকে এই হার কখনই ৮.২৫-এর নীচে আসেনি। এর আগে ২০২১ সালের মার্চ মাসে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টি ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য EPFO-র উপর ৮.৫ শতাংশ সুদের হার ধার্য করেছিল।
শনিবার গুয়াহাটিতে EPFO বোর্ড মিটিংয়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলির অনেক বিরোধিতার পরেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। Employees’ Provident Fund Organisation’s (EPFO)-র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা Central Board of Trustees শনিবার একটি বৈঠকে ২০২১-২২ এর জন্য তাঁর কর্মীদের ৮.১% সুদের হার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীঘ্রই বোর্ডের এই প্রস্তাব অর্থমন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর। অর্থ মন্ত্রক বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করলে, EPFO তার ফিল্ড অফিসগুলিকে ২০২১-২২ বছরের জন্য ৮.১ শতাংশে সুদের আয় গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা করার নির্দেশ দেবে।
Be the first to comment