বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। টুইট করে একথা জানিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন বাবুল। রবিবার একটি টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান তিনি। এই তৃণমূল নেতা লিখেছেন, “দিদিকে ধন্যবাদ। আপনার সুদক্ষ নেতৃত্ব এবং আশীর্বাদের ছত্রছায়ায় বাংলার মানুষকে সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি আমার কর্তব্য পালনে অবিচল থাকব।”
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন বাংলার দুই ফাঁকা লোকসভা এবং বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছিল। রবিবারই এই আসনগুলি থেকেই প্রার্থীর ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন টুইট করে বলেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয় বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়াই করবেন।
এছাড়াও আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহাকে। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করার পরেই প্রশ্ন উঠছিল তাঁকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে তাঁকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বাবুল সুপ্রিয়কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, “বাবুল সুপ্রিয়র নিজস্ব কোনও ক্যারিশ্মা নেই, তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে তা প্রমাণিত। কারণ সেক্ষেত্রে তাঁকে আসানসোলের প্রার্থী করা হত।” তিনি আরও বলেন, “একটা বিষয় ভেবে ভালো লাগছে যাঁরা তৃণমূলের পুরনো নেতা-কর্মীরা ছিলেন তাঁদের প্রার্থী করা হচ্ছে না। যাঁরা অন্য দল থেকে আসছে তাঁদের প্রার্থী করা হচ্ছে। সুষ্মিতা দেব, লুইজিনহো ফালেইরো-আরও অনেকে। এবার অন্য দল থেকে যাঁরা আসবেন তাঁরাই তৃণমূল দলকে চালাবেন।”
আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী প্রসঙ্গে এই নেতা বলেন, “আবারও আসানসোলকে বঞ্চিত করা হল। এখানের বাসিন্দারা চেয়েছিলেন স্থানীয় কেউ যিনি আসানসোলের মানুষের কষ্ট বুঝবেন, যিনি এলাকার মানুষের সমস্যার কথা সংসদে বলতে পারবেন, এমন কাউকে প্রার্থী হিসেবে আসানসোলের বাসিন্দারা চেয়েছিল। যদি নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করার জন্য শত্রুঘ্ন সিনহা পার্লামেন্টে যেতে চান তাহলে যেতে পারেন। কিন্তু, আসানসোলের বাসিন্দাদের সমস্যা বুঝতেই তো তাঁর দুই বছর সময় লাগবে! “
Be the first to comment