একই দিনে দুই কাউন্সিলরের মৃত্যু রাজ্যে। আর সেই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেন তিনি। কী কারণে পরপর একরম ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাইলেন স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে। মূলত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। আর সেই বৈঠকের পরই পানিহাটি পৌঁছেছে সিআইডি-র একটি টিম। তবে, রাজ্যের তরফে এখনও এই খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। রবিবার সন্ধ্যায় পানিহাটিতে খুন হন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুরের।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের এডিজি সিআইডি, এডিজি আইন শৃঙ্খলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এ দিন। সূত্রের খবর, রবিবারের দুটি খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী রীতিমতো ক্ষুব্ধ।
দক্ষিণবঙ্গে পরপর একই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। এই অবস্থায় সরকারের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধী শিবিরও। জানা যাচ্ছে, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে দুই কাউন্সিলর খুন সংক্রান্ত ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এ দিকে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও অনুপম দত্ত খুনের ঘটনার তদন্তে পানিহাটি পৌঁছেছে সিআইডি টিম। সোমবার সিআইডির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে দুজনকে। তাঁদের খড়দহ থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় পুলিশ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি মূল ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করার আর্জি জানিয়েছেন অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সিআইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment