রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় পডুয়াদের। সেখানে বাংলার পড়ুয়ারাও ছিলেন। তাঁরাও দেশে ফিরে এসেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে ঘরে ফেরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ মার্চ (বুধবার) ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে দুপুর বারোটায় ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের মুখোমুখি হবেন মমতা।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, মোদী সরকারের উচিৎ ছিল আরও আগে থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা। ইউক্রেন থেকে ফেরা ভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছেন বাংলার। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ মার্চ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে এখন চলছে তারই শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। যে পড়ুয়ারা ইউক্রেনের পড়তে গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের দুশ্চিন্তা এখনও কাটেনি।
এতদিন দুশ্চিন্তা ছিল, ছেলেমেয়েদের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে আটকে থাকা নিয়ে। এখন দুশ্চিন্তা, তাঁদের পড়াশোনা, ডিগ্রি, কেরিয়ার নিয়ে। কারণ, রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা করায় পড়াশোনা মাঝপথে রেখেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে তাঁদের। এদের মধ্যে সিংহভাগই মেডিকেল পড়ুয়া। এবার তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই যাচ্ছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে।
ইউক্রেন থেকে ফেরা রাজ্যের পড়ুয়াদের ও তাঁদের পরিবারের লোকেদেরও একইরকমের দুশ্চিন্তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে বাংলায় ফেরা পড়ুয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেই দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে সকলে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রতিটি জেলা থেকে ইউক্রেন থেকে ফেরা পড়ুয়াদের ওদিনের আলোচনা চক্রে থাকার জন্য আবেদন করা হয়েছে। জেলা শাসকদের মাধ্যমে সেই আবেদন জানানো হয়েছে পড়ুয়াদের কাছে। প্রত্যেক জেলা থেকে পড়ুয়াদের ক্ষুদিরাম অনুশীল কেন্দ্র পর্যন্ত আসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও খবর।
Be the first to comment