রাজ্যে একইদিনে দুই রাজনৈতিক নেতা খুন হয়ে গিয়েছেন। দু’জনেই রাজ্যের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। একজন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর। অন্যজন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর। রবিবার দু’টো রাজনৈতিক নেতার খুনের জেরে এবার নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। প্রত্যেক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের নিজেদের জেলাতে ঘুরে বেড়াতে হবে। দেখতে হবে যাতে কোনও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি না হয়। নবান্ন সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। উল্লেখ্য, রাজ্যে ২৮ টি পুরসভার বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্পর্শকাতর হয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেদিকে পুলিশ সুপারদের নজর রাখতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পাশাপাশি আনিস খান মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার জেরেও এবার সজাগ প্রশাসন। নবান্ন সূত্রে খবর, পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ইস্যুতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম উঠে আসছে। তাদের যথাযথ প্রশিক্ষিত করতে হবে। হাওড়া এবং ব্যারাকপুর – এই দুই পুলিশ জেলা খুব স্পর্শকাতর। মঙ্গলবারের বৈঠকে দুই জেলারই পুলিশ সুপারদের বিশেষভাবে সতর্ক করে দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
উল্লেখ্য, হাওড়ার আমতা এলাকায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর পর বার বার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে এসেছিল। এমনকী প্রশ্ন উঠেছিল জেলার পুলিশের পদস্থ অফিসারের ভূমিকা নিয়ে। রাজ্যের আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি রাজ্যের দুই কাউন্সিলরের গুলিবিদ্ধ হয়ে খুনের ঘটনার পরও প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরই যদি কোনও নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে বাকি রাজ্যের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কীভাবে নিশ্চিত করবে রাজ্য?
Be the first to comment