বিধানসভা ভোটে পাঁচ রাজ্যে শোচনীয় পরাজয়ের পর এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি। ওই পাঁচ রাজ্য, অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ইস্তফার নির্দেশ দিলেন সোনিয়া গান্ধী।
ভোটে ভরাডুবির পর গত রবিবার ছিল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। জল্পনা ছিল, এই বৈঠকে সরে দাঁড়াতে পারেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। যদিও তা হয়নি। বরং সভাপতি পদে ফের রাহুল গান্ধীর নাম উঠেছে। তবে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা এই সিদ্ধান্তকে কতদূর মেনে নেবেন তা নিয়ে শংসয় রয়েছে দলের অন্দরেই। এর মধ্যেই মঙ্গলবার কড়া অবস্থান নিলেন কংগ্রেস শীর্ষনেত্রী। হারের মুখ দেখা পাঁচ প্রদেশ সভাপতিকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেন। সূত্রের খবর, খারাপ ফলের জেরে ওই রাজ্যগুলির দলীয় সংগঠনেরও বড় রদবদল হতে চলেছে।
এই পাঁচ রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতিদের অন্যতম পাঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু। অন্যরা হলেন উত্তরপ্রদেশের অজয়কুমার লাল্লু, উত্তরখণ্ডের গণেশ গোদীয়াল, গোয়ার গিরীশ চোড়নকর এবং মণিপুরের প্রদেশ সভাপতি এন লোকেন সিংহ। এদের মধ্যে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ চোড়নকর মঙ্গলবার সকালেই ভোটে হারের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
সোনিয়া যাঁদের সরালেন তাঁদের মধ্যে সিধুকে নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত দল। গত বছর জুলাই মাসে প্রদেশ সভাপতি হন তিনি। শুরু থেকেই পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। পরবর্তীকালে চরণজিৎ সিং চান্নির সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে। দল মনে করছে, এই অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই পাঞ্জাবে বিপুল হার হয়েছে কংগ্রেসের। গতবারের সরকার গড়া দল এবার সাকুল্যে পেয়েছে ১৮টি সিট। সেই কারণেই সিধুকে সরিয়ে কড়া বার্তা দিলেন সোনিয়া।
এদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্ব গান্ধী পরিবারের হাতে থাকা নিয়ে মঙ্গলবার আগুনে ঘি ঢেলেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তিনি মন্তব্য করেন, আমি চাই ‘সব কি কংগ্রেস’। এইসঙ্গে জি-২৩ গোষ্ঠীভুক্ত বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতাদের আগামিকাল নৈশভোজে ডেকেছেন সিব্বল। এদিকে সিব্বলের এই বক্তব্যের পরে দলের লোকসভার চিফ হুইপ মনিকম টেগর টুইট করেন, ”সিব্বল সব জেনেও কেন বিজেপি-আরএসএসের ভাষায় কথা বলছেন বুঝতে পারছি না।”
Be the first to comment