বাজেট অধিবেশনে অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনার সময় বিজেপি বিধায়কদের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ওই সময় বিধানসভার অন্দরে বক্তব্য রাখছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যার কারণে ওয়াকআউট করা যায় ।
দেখা যায়, এক এক করে সমস্ত বিরোধী বিধায়করা নীরবে মন্ত্রীর বক্তব্যের সময় কক্ষ ত্যাগ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কার্যত বিরোধীশূন্য কক্ষে বক্তব্য রাখতে থাকেন অর্থমন্ত্রী। এই ঘটনাটি নজরে আসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বিরোধীদের এই আচরণ নিয়ে অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং তাদের এই আচরণকে অসৌজন্য বলে আখ্যা দেন। প্রসঙ্গত, এদিন শাসক এবং বিরোধী দলের তরফ থেকে একাধিক প্রশ্ন করা হয় অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। অর্থমন্ত্রী তারই জবাব দিচ্ছিলেন। সেই জবাব দেওয়াকে উপেক্ষা করে বিরোধীদের বেরিয়ে যাওয়ার কঠোর সমালোচনা করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পরিষদীয় রাজনীতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় সরকারপক্ষের খামতি তুলে ধরতে তারা কক্ষের ভেতর হইচই করেন। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। অথবা কোনও ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াকআউট করেন। এ ধরনের ঘটনা পরিষদীয় রীতিনীতির মধ্যে স্বাভাবিক কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার এই চেনা রুটিনের বাইরে একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা দেখা গেলো। ব্যতিক্রমী এই কারণেই বলা হচ্ছে, কোনও কারণ ছাড়াই অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় নিঃশব্দে কক্ষত্যাগ করলেন সমস্ত বিজেপি বিধায়ক। আপাতদৃষ্টিতে এটাকে ওয়াকআউট মনে হতেই পারে। তবে এটা ওয়াকআউট নয়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভার প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিধায়কদের এই ভূমিকাকে ভাল চোখে দেখেননি অধ্যক্ষ। আর সে কারণেই এর কঠোর সমালোচনা করলেন তিনি।
এদিন বিধানসভার কক্ষে বিমানবাবু বলেছেন, এ ধরনের আচরণ কাঙ্ক্ষিত নয়। অধ্যক্ষের মতে, বিজেপি বিধায়কদের এই আচরণ শুধু অশোভন নয়, অসৌজন্যমূলকও। এ ধরনের ঘটনা সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক। তিনি আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে বিরোধীরা এ ধরনের আচরণ করবেন না।
Be the first to comment