দোলের আগের রাতে উত্তপ্ত সিউড়ি। পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতেই ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বীরভূমের সিউড়ি এলাকায়। বোমাবাজির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তে সিউড়ি থানার পুলিশ।
সিউড়ি পৌরসভার নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান হলেন বিদ্যাসাগর সাঁও। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর ছেলে বিক্রমজিৎ সাঁও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। তিনিও বাড়িতে ছিলেন। রাতের খাবার শেষ করে তাঁরা শুয়ে যাচ্ছিলেন। ভাইস চেয়ারম্যানের বয়ান অনুযায়ী, আচমকাই তাঁদের বাড়ির দরজার সামনে একটা বোমা পড়ে। প্রথমে তাঁরা কিছুটা ঘাবড়ে যান। কিন্তু আকস্মিকতার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই পরপর আরও বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে। ভাইস কাউন্সিলরের বক্তব্য, তাঁরা বাড়ি থেকে সেসময় বের হননি। তাই কারা বোমা ফেলছে, তা দেখতে পাননি। তবে সবকটিই তাঁর বাড়ির দরজার সামনেই ফেলা হয়েছে।
বোমাবাজির ছাপ স্পষ্ট ভাইস কাউন্সিলরের বাড়ির পাঁচিলে- দরজায়। বোমাবাজিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ির বেশ কিছু অংশ এবং বাড়ির ভেতর থাকা বিভিন্ন সামগ্রী। যদিও গভীর রাতে বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় কেউ আঘাত পাননি। তবে আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা। পুরভোটের পরও এমন ঘটনা কেন ঘটছে, এই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা নিয়ে সন্ধিহান ভাইস চেয়ারম্যান স্বয়ং।
বিদ্যাসাগর সাঁও বলেন, “এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা তো কারোর মুখ দেখতে পাইনি। সেভাবে কারোর নাম নেওয়া যাবে না। সন্দেহের বশে কাউকে দোষও দেওয়া যাবে না। তবে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশ দোষীদের খুঁজে বার করুক।” ঘটনাস্থলে রাতেই যায় বীরভূম জেলা পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিক। সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিউড়ি থানার বাহিনীও। ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Be the first to comment