নজরে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। তারই প্রস্তুতি সংক্রান্ত বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আগামী বুধবার এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই শিল্প বাণিজ্য সম্মেলনে কতজন শিল্পপতি অংশ নিতে চলেছেন, কীভাবে এই সম্মেলন হবে, জেলাগুলির ভূমিকা কী হবে সে সংক্রান্ত বিষয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক জেলাশাসক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটির শিল্প দফতর আধিকারিক, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বুধবারের বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
আগামী এপ্রিল মাসের ২০ ও ২১ তারিখ বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলন বা বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট হবে। বুধবারের বৈঠকেই এর একটি রূপরেখা প্রস্তুতের সম্ভাবনা রয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে কতজন শিল্পপতি আসবেন তার তালিকাও ওই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এবার তাঁর সরকারের লক্ষ্য আরও শিল্প ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। চার পুরনিগম ও ১০৮ পুরসভার ফল প্রকাশের পরও একই কথা বলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেই রাজ্যে শুরু হয় শিল্প সম্মেলন। গত কয়েক বছরে বেশ জাঁকজমক করে রাজ্যে হয়েছে শিল্প সম্মেলন। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, শিল্প সম্মেলন থেকে আদৌ কি কোনও সুফল বঙ্গবাসী পেয়েছেন? রাজ্যে কী শিল্প হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। বিরোধীরা নিয়মিত অভিযোগ তোলে, এই সরকার শিল্পবিমুখ। সেই ভাবমূর্তি কাটাতে এবার অনেক বেশি তৎপর রাজ্য।
শিল্পে বিনিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটি টুইট করে রাজ্যপাল জানতে চান, “২০২০ সালের ২৫ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগের ১২ লক্ষ কোটি টাকার হিসাব চেয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত তার জবাব পাইনি। শিল্পের পরিবেশ তৈরি করতে গেলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রয়োজন। রাজ্যে শিল্পের দশা এখন অতীতের ছায়ামাত্র।”
Be the first to comment