পানিহাটি থেকে ঝালদা, রিজেন্ট পার্ক থেকে তিলজলা- গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও রক্ত ঝরেছে, কোথাও ঝরে গিয়েছে প্রাণ! রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। শনিবারই কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তারই পাল্টা বলতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যেরই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রীর বক্তব্য, যদি দুষ্কৃতী, গুলি-কার্তুজ না থাকে, তা হলে পুলিশ-আদালতও থাকবে না।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “একটা, দু’টো ঘটনা হতেই পারে। আমরা তো বারবারই সে কথা বলি। যদি এমন হয় কোথাও গুলি চলবে না, কোনও দুষ্কৃতী থাকবে না, তা হলে তো পুলিশই উঠে যাবে। তা হলে তো আদালতই উঠে যাবে। অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক ভাল আছি আমরা। কিন্তু বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে শার্প শুটার আসবে না, গুলি আসবে না, বোমা আসবে না সেভাবে সীমানা আটকানো যায় নাকি দেশের মধ্যে? দেশের সীমান্তে যেভাবে তল্লাশি করি, দেশের ভিতর রাজ্যগুলির সীমানায় তা কি করা যায়? তাই এগুলি হবেই। তবে আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। পুলিশও যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। যাতে এই সাহসটা আর কেউ না পায়।”
এরই পাল্টা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সংবিধানের শপথ নেওয়া একজন মন্ত্রী যখন এ কথা বলেন, তা বুঝিয়ে দেয় আইনের শাসন কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষের তা বুঝতে কোনও অসুবিধা নেই। উনি ঠিকই তো বলেছেন, বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে অস্ত্র আসছে। আসলে আসলে উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা এখন এতটাই কড়া, শার্প শুটার হয় রাজ্যের বাইরে কিংবা জেলে বা স্বর্গবাসী হয়েছেন। পুলিশ সেভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু সেই অস্ত্রগুলোয় তো জং ধরে যাচ্ছে। ওখানে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পরিত্যক্ত বোমা গুলি বন্দুক হয়ত ওখান থেকে আসছে। তৃণমূল তো প্রার্থীও আনছে। আসানসোলে তো দেখাই গেল।”
বিভিন্ন মহলের তরফে ইতিমধ্যেই বলা হচ্ছে, ফিরহাদ হাকিম একজন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি চাইলে পুলিশকে আরও কড়া হওয়ার কথা বলতে পারতেন, পুলিশকে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা বলতে পারতেন। সেখানে তিনি ‘পুলিশ, আদালত’ উঠে যাওয়ার যে তত্ত্ব দিলেন তা নিঃসন্দেহে বিস্ফোরক।
Be the first to comment